যান ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা
মহামারী কারোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের আজ ষষ্ঠ দিন। গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সারা দেশে সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার চলছে তার ৬ষ্ঠ দিন। লকডাউনে এবার সরকাররি-আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস ৭ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে দেশে করোনা ভাইরাসের উর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকায় সর্বাত্মক লকডাউনের সময়সীমা আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়েছে সরকার। সোমবার (৫ জুলাই) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে, আগামী ১৪ই জুলাই পর্যন্ত চলমান এ কঠোর বিধি-নিষেধ কার্যকর থাকবে।
তবে করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই গত রোববার (৪ জুলাই) থেকে রাস্তায় মানুষ ও ব্যাক্তিগত গাড়ির চলাচল বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন প্রধান সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে যানজটও চোখে পড়েছে। শাহবাগ, বাড্ডা, শাহজাদপুর, কাকলী, বনানী, মহাখালী, ফার্মগেট সহ বিভিন্ন এলাকায় হাল্কা ও মাঝারি জ্যাম তৈরি হয়।
অবশ্য কঠোর বিধিনিষেধ প্রতিপালনে গত ৫ দিনের ন্যায় আজো মাঠে রয়েছে পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, আর্মি ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানের তাদের টহল চোখে পড়েছে। তবে রাস্তাঘাটে রিক্সা ও মানুষের চলাচলা কিছুটা বেড়েছে। যদিও প্রধান প্রধান রাস্তার তুলনায় অলিগলিতে মানুষের উপস্থিতি বেশি। অন্যদিকে তল্লাশি কিছুটা কমেছে। র্যাবের পক্ষ থেকে বিনা কারণে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পাড়া মহল্লায় অভিযান চালানোর কথা বলা হলেও তা চোখে পড়েনি।
এদিকে লকডাউনে জরুরি কারণ ছাড়া অযৌক্তিভাবে কেউ বাড়ির বাইরে বের হলেই তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হয়েছে। ঘরের বাইরে যাওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে গুণতে হচ্ছে জরিমানা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্রেফতারও করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গাড়ির বিরুদ্ধেও দেয়া হচ্ছে মামলা এবং জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে অফিসাগামী লোকজন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বরত সদস্যদেরকে প্রদর্শন করে অফিসে যেতে পারছেন।