শুক্রবার,

০৯ মে ২০২৫,

২৬ বৈশাখ ১৪৩২

শুক্রবার,

০৯ মে ২০২৫,

২৬ বৈশাখ ১৪৩২

Radio Today News

`সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার দেখানো পথে এগিয়ে যাবে দেশ`

রেডিওটুডে ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:৪৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Google News
`সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে শেখ হাসিনার দেখানো পথে এগিয়ে যাবে দেশ`

বক্তব্য রাখছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু

দেশের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথে এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেছেন, ‘জননেত্রীর শেখ হাসিনার দেখানো পথে আমরা এগিয়ে যাবো অগ্রগতির দিকে, উন্নয়নের দিকে।  দেশ ধাবিত হবে সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করে। এবং আমার সেই অগ্রযাত্রায় শামিল হবো।’

বৃহস্পতিবার  (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম শুভ জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে ইছামতি নদীতে নৌকাবাইচ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নৌকা বাইচ আবহমান বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির একটি অনন্য ঐতিহ্য। বাংলার প্রতিটি আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে লোকসংস্কৃতির অমুল্য বহ উপাদান। এসব লোকসংস্কৃতি সঠিকভাবে লালন করা গেলে এগুলো বিশ্ব সংস্কৃতি ও সাহিত্যেরও অমুল্য সম্পদ হয়ে উঠতে পারে৷ পাবনা জেলা বাঙালি লোক-সংস্কৃতির উর্বর ক্ষেত্র। নৌকা বাইচ আমাদের এলাকার তেমনই একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব।

তিনি বলেন, ‘বাঙালি বীরের জাতি। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছি। তিনি বাংল্যর মানুষের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আমৃত্যু লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, জেল-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছেন৷ স্বাধীনতার পর দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক বাঙালিকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ শুরু করেছিলেন। সে লক্ষ্যে তিনি অল্প সময়ের মধ্যে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি সংবিধানও আমাদেরকে উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের ষড়যন্ত্রের কারণে স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথ্যয়ই আমরা জাতির পিতাকে হারাই। এটা ছিল জাতি হিসাবে আমাদের চরম ব্যর্থতা।
কারণ আমরা তাঁকে ধরে রাখতে পারিনি। বঙ্গবন্ধু আমাদের সাথে না থাকলেও তাঁর নীতি-আদর্শই বাঙালির এগিয়ে যাওয়ার পথ-নির্দেশিকা ও অনুপ্লেরণা।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনীতির নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনাল নির্মাণ, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সকল মেগা প্রকল্পের কাজ সময়মত শেষ হয়েছে। জনগণ এর সুফল পেতে শুরু করেছে।

পাবনার কৃতিসন্তান বলেন, পাবনার উন্নয়নে নতুন গতি এসেছে। ২০০৮ সালে পাবনায় মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলেও এতোদিনে কোনো হাসপাতাল ছিল না। আজ সকালেই পাবনার ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণ কাজের শুভসূচনা করা হয়েছে। পাবনা থেকে ঢাকা রেল চলাচল এ মাসেই শুরু করার কথা থাকলেও  প্রশাসনিক ও কারিগরিককারণে তা সম্ভব হয়নি।  তবে অল্প সময়ের মধ্যেই তা শুরু হবে। এছাড়াও ইছামতি নদী সংস্কার ও পুন:খননের একটি প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

পরে রাষ্ট্রপ্রতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম শুভ জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে পাবনার সাঁথিয়াস্থ ইছামতি নদীতে নৌকাবাইচ উপভোগ করেন।  

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার বহু কাঙ্খিত পাবনা মেডিকেল কলেজের ৫০০ শয্যা হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে পাবনা শহীদ অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন স্টেডিয়ামে এসে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। এরপর ৪ টা ৩০ মিনিটে পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। রাত ৯টার দিকে পাবনা প্রেসক্লাব অন্তর্ভুক্ত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি এবং সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করেন।

সাঁথিয়ার নৌকাবাইচ অনুষ্ঠান শেষে পাবনা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে সার্কিট হাউজে রাত্রিযাপন করবেন। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে পাবনা সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার শেষে পাবনা স্টেডিয়ামে হেলিপ্যাডে উপস্থিত হয়ে বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন।

রেডিওটুডে নিউজ/এসবি

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের