‘অসাধু ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা’ থেকে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে এবার কম মূল্যে গরুর মাংস বিক্রির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক কাউন্সিলর।
রোজার মাসে রাজধানীতে মাংস ব্যবসায়ীরা যখন গরুর মাংস সাড়ে সাতশ’ থেকে আটশ’ টাকায় বিক্রি করছেন, তখন দক্ষিণ সিটির ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক।
লালবাগের এই কাউন্সিলর নিজ উদ্যোগে ৫৮০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন। শুধু লালবাগ বা আজিমপুর নয়, রাজধানীর যেকোনো এলাকার মানুষই হতে পারবেন সেখানকার ক্রেতা।
হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, এ সেবা যদি পর্যায়ক্রমে সব ওয়ার্ডেই চালু করা যায় তাহলে, মানুষেরই নাগালে থাকবে গরুর মাংস।
দুএকটি ব্যতিক্রম ছাড়া রাজধানীর সব জায়গাতেই গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে সাতশো থেকে আটশো টাকা কেজি দরে। এর মধ্যে ৫৯৫ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন উত্তর শাহজাহানপুরের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান।
আর এসবের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, নিজ উদ্যোগে লালবাগ, আজিমপুর, রসুলবাগ এলাকায় ৫৮০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস শুরু করেছেন প্রথম রমজান থেকে।
তার কাছ থেকে একেকজন ক্রেতা সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি মাংস কিনতে পারছেন। আগের দিন টাকা নিয়ে পরদিন চাহিদা অনুযায়ী গরু জবাই করে মাংস বিতরণ করা হচ্ছে। এই উদ্যোগে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও।
কাউন্সিলর মানিক বলেন, রোজার সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজার অস্থিতিশীল করে তোলে। সারাদেশের জনপ্রতিনিধিরা যদি উদ্যোগী হয় তাহলে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকবে মনে করেন তিনি।
মানিকের এই উদ্যোগ চালু থাকবে পুরো রোজার মাস জুড়েই। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী, গরুর সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানান এই কাউন্সিলর।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম