সোমবার,

২০ মে ২০২৪,

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সোমবার,

২০ মে ২০২৪,

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Radio Today News

আমরা আইন করেছি, মিনিকেট চাল থাকবে না: খাদ্যমন্ত্রী

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:০২, ৯ মে ২০২৪

আপডেট: ১০:৪৩, ৯ মে ২০২৪

Google News
আমরা আইন করেছি, মিনিকেট চাল থাকবে না: খাদ্যমন্ত্রী

আগামী তিন মাসের মধ্যে ধানের জাত, উৎপাদন তারিখ ও বিক্রয়মূল্য সংবলিত চালের বস্তা বাজারে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, আর ছয় মাসের মধ্যে চাল পলিশিং বা ছাঁটাই বন্ধ করা হবে। তারপর কেউ যদি চাল ছাঁটাই করে চিকন করে তাহলে তাদের মেশিন জব্দ করা হবে।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত খাদ্যবাহিত রোগ ও স্বাস্থ্য বিপত্তি নিরসনে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘চকচকে চাল খাওয়ার ফলে আমাদের আমাদের জাতীয় ক্ষতি হয়। এই চকচকে চাল খেতে গিয়ে ১৬ থেকে ২০ লাখ মেট্রিক টন চাল নষ্ট হয়। শুধু পলিশ করার কারণে।

পলিশ করার সময় স্যালাইন পানি বা মেডিসিন ব্যবহার করা হয়। আমরা আইন করেছি, মিনিকেট চাল থাকবে না। পহেলা বৈশাখ থেকে সেই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সেটা হচ্ছে চালের বস্তার গায়ে ধানের জাতের নাম, উৎপাদন তারিখ ও দাম উল্লেখ রাখতে হবে।

বাজারে এখনো পুরোপুরি আসেনি, তবে আসতে শুরু করেছে। ’ এখনো বাজারে পুরাতন চাল আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেগুলো শেষ হওয়ার পর আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন বস্তার চাল ছাড়া পাওয়া যাবে না। যে আইন করা হয়েছে, আগামী দুই, চার বা ছয় মাস পরে আর পলিশিং চাল উৎপাদন করা যাবে না। আর যারা পলিশিং করছে, আমরা গিয়ে মেশিন জব্দ করা শুরু করব। আর বাধ্য করা হবে, সেই চাল (পলিশি ছাড়া) খাওয়ার জন্য। আমরা অনেক কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চাই সমর্থন। আমাদের কষ্ট লাগে, চালের পুষ্টি ছাঁটাই করে ফেলে দিচ্ছি। ’

ভোক্তাদের অভ্যাসের পরিবর্তন করতে হবে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ‘ভোক্তাদের অভ্যাসের দোষ আছে। একমাত্র বাংলাদেশে চালের মধ্যে কার্বোহাইড্রেড ছাড়া কিছুই নাই। আমরা যদি আইন করে দিই, পলিশ করা, চকচকে চাল খাবেন না। কেউ মানবেন? মানবেন না। তাহলে ভোক্তাদের দোষ তো হবেই। বাড়িতে রং দিয়ে জর্দা, বিরিয়ানি বানান। এটা তো জাফরান রং দিয়ে বানান। বিয়েবাড়ির খাবারও জাফরান রং দিয়ে বানায়। খুব সুন্দর করে সেজেগুজে গিয়ে সেগুলো আমরা তৃপ্তি করে খাই। এভাবে ক্যান্সারের বীজ শরীরের মধ্যে নিয়ে নেই। অনেকে রঙিন আইসক্রিম কিনে খায়। এ জন্য ভোক্তারা যদি নিজেদের অভ্যাস-আচরণ পরিবর্তন না করেন তাহলে আইন করে কিছুই হবে না। ’

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের