
আইনিভাবে বিচ্ছেদের আগেই নতুন করে বিয়ে করার অভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে করা মামলায় আত্মপক্ষ শুনানি পিছিয়েছে। আগামী ১৪ জুলাই দিন ঠিক করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জাকির হোসাইন এ আদেশ দেন।
এ দিন আদালতে নাসির এবং তামিমার আত্মপক্ষ শুনানির দিন ছিল। সকালে নাসির আদালতে হাজির হলেও তামিমা অনুপস্থিত ছিলেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান জানিয়েছেন, তামিমার পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করে দেন।
এর আগে মামলাটি অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম ওয়াহিদুজ্জামানের আদালতে বিচারাধীন ছিল। গত ২৮ এপ্রিল আসামি ও বাদীপক্ষের আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টি আবেদন করেছেন আদালতে। এতে শুনানিতে আদালত ‘বিব্রত বোধ’ করেছেন জানিয়ে মামলাটি বদলির আদেশ দেন।
কারণ হিসেবে বিচারক বলেছিলেন, 'এটা একটা বিজি কোর্ট। একটা মামলার শুনানি করতে যে ধৈর্য দরকার, এতো সময় এই আদালতের নেই। এতে অন্য মামলায় ইফেক্ট পড়ে। আমি বিব্রতবোধ করে মামলাটা অন্য কোর্টে পাঠিয়ে দিচ্ছি।'
গত ১৬ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। এই মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে আদালত।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। কিন্তু রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসির বিয়ে করেন।
২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তিনি এই মামলাটি দায়ের করেন।
সে বছর ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মিজানুর রহমান।
২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একই আদালত নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয়। তবে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ওই বছরের ৬ মার্চ মহানগর দায়রা আদালতে নাসির ও তামিমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন করেন তাদের আইনজীবী কাজী নজিবুল্লাহ হিরু।
অন্যদিকে সুমি আক্তারকে অব্যাহতির আদেশের বিরুদ্ধে রিভিশন দায়ের করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।
২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দুটো আবেদনই আদালতে নাকচ হয়ে যায়। ফলে নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে মামলা চলতে আইনি বাধা কাটে।
সে বছর ২০ মার্চ বাদী রাকিবের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম