শনিবার,

২৬ জুলাই ২০২৫,

১১ শ্রাবণ ১৪৩২

শনিবার,

২৬ জুলাই ২০২৫,

১১ শ্রাবণ ১৪৩২

Radio Today News

অবৈধভাবে রাজউকের প্লট নেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ২৪ জুলাই ২০২৫

Google News
অবৈধভাবে রাজউকের প্লট নেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল

অবৈধভাবে প্লট গ্রহণের অভিযোগে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের তথ্য চেয়ে নথিপত্র তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) নথি তলবের চিঠি দিয়েছে দুদকের অনুসন্ধান টিম বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ওই সুবিধা নিয়েছেন তিনি-এমন অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। 

তলবি চিঠিতে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র জরুরি ভিত্তিতে সরবরাহের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অনুরোধ করা হয়েছে।

চিঠিতে সাবেক বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নামে প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের (স্মারক নং রাজ-৫/২০০৫/৪৮৫, তারিখ ২১-০৯-২০১০) নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নিম্নবর্ণিত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা একান্ত প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, জরুরি ভিত্তিতে রেকর্ডপত্রের ফটোকপি নিম্নস্বাক্ষরকারীর কাছে সরবরাহের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ/ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হলো।

দুদক সূত্রে জানা যায়, বরাদ্দকৃত প্লটের বিষয়ে বিদ্যমান নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্ব ৭ সদস্যদের টিম অনুসন্ধানের দায়িত্ব পালন করছে। টিমের অপর সদস্যরা হলেন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এস এম রাশেদুল হাসান, এ কে এম মর্তুজা আলী সাগর, মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত বছর এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে বিচারক হিসেবে ‘দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলক’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে দণ্ডবিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়।

২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবিএম খায়রুল হক। ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের