
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া ‘টাইগার শার্ক’ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। মহড়াটির লক্ষ্য ছিল দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও গভীর করা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার করা।
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড ও বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে পরিচালিত এ মহড়ায় চিকিৎসা সহায়তা, যৌথ টহল, নিখুঁত অস্ত্রচালনা, কাছাকাছি সংঘর্ষে লড়াই (ক্লোজ কোয়ার্টার কমব্যাট), সাঁতার ও ডাইভিং এবং কৌশলগত অনুশীলনের মতো নানা ধরনের সমন্বিত প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত ছিল। আজ এখানে এক মার্কিন মিডিয়া নোটে এতথ্য জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি জ্যাকবসন বলেন, ‘এই যৌথ সামরিক মহড়া একটি নিরাপদ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ ইন্দো-প্যাসিফিক গড়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। এটি যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ দৃঢ় অংশীদারিত্বের প্রতীকও।’
মহড়ায় উভয় দেশের সামরিক সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন এবং পারস্পরিক বিশেষজ্ঞ মতবিনিময় ও যৌথ পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, যার মাধ্যমে অপারেশনাল ইন্টারঅপারেবিলিটি ও দ্রুত প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে পরিবর্তনশীল আঞ্চলিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায়।
মার্কিন দূতাবাস জানায়, টাইগার শার্ক মহড়া ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার প্রতি উভয় দেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। এ ধরনের কার্যক্রম দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সক্ষমতা বাড়াতে এবং সামুদ্রিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিবেশকে আরও সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে মার্কিন সামরিক তৎপরতা তদারকি করে এবং আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে শান্তি বজায় রাখা, আগ্রাসন প্রতিরোধ ও কৌশলগত জলপথ উন্মুক্ত রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম