
চলতি মাসেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা ছিল ভারতের। তবে শেষ মুহূর্তে ভারত বেঁকে বসায় সিরিজটি পিছিয়ে গেছে। নতুন সূচি অনুযায়ী, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারে ভারত। গেল মাসেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ খবর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আগামী সেপ্টেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এশিয়া কাপ। আসন্ন এই মহাদেশীয় টুর্নামেন্টের আগে বাংলাদেশের আর কোনো সিরিজ নেই। তাই এশিয়া কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন টাইগার টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস।
ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির কথা ভেবে একটি সিরিজ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর ব্যস্ত সূচির কারণে বিকল্প হিসেবে সহযোগী দেশ নেপাল ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে বিসিবি। বিসিবির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সফরে আসতে যাচ্ছে নেদারল্যান্ডস।
বিসিবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশ সফরে আসবে নেদারল্যান্ডস। সফরে একটি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না এলেও আগামী ১৯ থেকে ২৫ আগস্টের মধ্যে সিরিজটি হতে পারে বলে জানিয়েছে বোর্ডের সূত্রটি।
এদিকে বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে কথা এগিয়েছে। তারা সিরিজ খেলবে বাংলাদেশে। সমঝোতা চুক্তি সম্পন্ন না হওয়ায় ভেন্যু ও তারিখ ঠিক হয়নি। চুক্তি হলেই এগুলো জানাতে পারব।’
এশিয়া কাপে খেলা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর। দুবাই ও আবুধাবিতে হবে খেলা। এ দুই ভেন্যুতে খুব বেশি রান না হলেও স্পোর্টিং উইকেট করা হয়। সেক্ষেত্রে কোন ভেন্যুতে খেলা হতে পারে তা নিয়েও চলছে জল্পনা। এশিয়া কাপ সামনে রেখে ভালো উইকেটেই প্রস্তুতি সারতে চায় ক্রিকেটাররা।
এ কারণে এশিয়া কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজটি সিলেট অথবা চট্টগ্রামের যে কোনো এক ভেন্যুতে খেলা হতে পারে বলে আগেই আভাস পাওয়া গিয়েছে। নাজমুল আবেদীন ফাহিমও তেমন আভাস দিয়েছেন, ‘সিলেটে ভালো উইকেট থাকে। ওই ভেন্যুতে খেলা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।’
এদিকে নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট বোর্ডের কাছে বিসিবি থেকে তিন ম্যাচ সিরিজের জন্য সম্ভাব্য একটি ভেন্যু ও সময় ঠিক করে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এক সপ্তাহের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হবে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে। সবদিক থেকে বিবেচনা করা হলে সিলেট প্রথম পছন্দ হতে পারে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান সিরিজ শেষ করে ক্রিকেটাররা নিজ নিজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ব্যস্ত। দেশে কিংবা কেউবা আবার বিদেশে অবস্থান করছেন। কোচিং স্টাফরাও রয়েছেন ছুটির আমেজে। এশিয়া কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আগামী ৬ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের স্কিল ও ফিটনেস ক্যাম্প।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম