শুক্রবার,

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

৩ আশ্বিন ১৪৩২

শুক্রবার,

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

৩ আশ্বিন ১৪৩২

Radio Today News

ভুলে যাওয়ার অভ্যাস নাকি ডিমেনশিয়া, কিভাবে দূরে রাখবেন মস্তিষ্কের এই রোগ?

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৪:৪৯, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Google News
ভুলে যাওয়ার অভ্যাস নাকি ডিমেনশিয়া, কিভাবে  দূরে রাখবেন মস্তিষ্কের এই রোগ?

ভুলে যাওয়া আমাদের সবার জীবনেরই অংশ। কখনো চশমা কোথায় রেখেছি মনে থাকে না, কারো নাম হঠাৎ মনে পড়ে না কিংবা কোনো তারিখ গুলিয়ে ফেলি—এমন ঘটনা প্রায়ই ঘটে। চিকিৎসকরা বলছেন, এসব সাধারণ ভুলে যাওয়া সব সময়েই যে চিন্তার কারণ, তা নয়।

কিন্তু যখন এ ভুলে যাওয়া ক্রমাগত বেড়ে যায় এবং দৈনন্দিন জীবনে বাধা সৃষ্টি করতে শুরু করে, তখন সেটিই হতে পারে ডিমেনশিয়ার লক্ষণ।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণ ভুলে যাওয়া ও ডিমেনশিয়ার মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে, যা জানা জরুরি।
ভুলে যাওয়া ও ডিমেনশিয়ার মধ্যে পার্থক্য

স্মৃতি হারানোর ধরন : বয়সের কারণে অনেকেই সাময়িকভাবে কিছু মনে করতে পারেন না, তবে পরে তা মনে পড়ে যায়। কিন্তু ডিমেনশিয়া আক্রান্তরা সাম্প্রতিক ঘটনা বা তথ্য একেবারেই মনে করতে পারেন না।

ক্রমাগত অবনতি : সাধারণ ভুলে যাওয়া অপরিবর্তিত থাকে, অথচ ডিমেনশিয়ায় ভুলের পরিমাণ ও মাত্রা প্রতিদিন বাড়তে থাকে।

যেমন—জিনিস কোথায় রেখেছেন, গুরুত্বপূর্ণ তারিখ বা কাজ ভুলে যাওয়া।

সময় ও ঘটনার বিভ্রান্তি : রোগীরা প্রায়ই পুরোনো ও নতুন ঘটনার মধ্যে গুলিয়ে ফেলেন, এমনকি অনেক সময় কল্পিত স্মৃতিও তৈরি হয়।

ভুল স্বীকার না করা : সাধারণ ভুলে যাওয়া মানুষ সহজে মেনে নেন। কিন্তু ডিমেনশিয়ায় আক্রান্তরা নিজেদের ভুল স্বীকার করতে চান না।

অতিরিক্ত জটিলতা : শুধু ভুলে যাওয়া নয়—সহজ কাজেও বিভ্রান্তি, কথা বলতে গিয়ে শব্দ ভুলে যাওয়া, হিসাব মেলাতে না পারা, পথ হারানো, আচরণে পরিবর্তন, উদ্বেগ বা ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়।

ডিমেনশিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের উপায়

নিয়মিত শরীরচর্চা : হাঁটা, দৌড়, সাঁতার বা সাইক্লিং মস্তিষ্ক ও শরীর দুটোই সক্রিয় রাখে।
সুষম খাবার : শাকসবজি, ফল, বাদাম, দুধ ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
যথেষ্ট ঘুম : দীর্ঘদিনের ঘুমের অভাব স্মৃতিশক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাই প্রতিদিন ভালো ঘুম জরুরি।
সামাজিক মেলামেশা : পরিবার, বন্ধু বা সামাজিক গোষ্ঠীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে।

মস্তিষ্কের ব্যায়াম : বই পড়া, লেখা, আঁকাআঁকি, পাজল সমাধান স্মৃতিশক্তি বাড়ায়।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ : মেডিটেশন, কাউন্সেলিং ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিয়ে উদ্বেগ ও হতাশা কমানো জরুরি।
শারীরিক রোগ নিয়ন্ত্রণ : রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। পাশাপাশি ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলতে হবে।

চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ : প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের নির্দেশে ওষুধ খাওয়া যেতে পারে।
সহানুভূতি ও সহযোগিতা : রোগীর ভুল ধরিয়ে না দিয়ে ক্যালেন্ডার, রিমাইন্ডার বা ঘড়ির মতো উপকরণ ব্যবহার করানো ভালো। প্রয়োজনে সহায়তা করলেও, রোগীকে যতটা সম্ভব স্বাধীন রাখা জরুরি।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের