
বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষেরা সকালের নাস্তায় পরোটা, পাউরুটির বদলে বেছে নিচ্ছেন ওটস, বিভিন্ন মৌসুমী ফল ও ড্রাই ফ্রুটস। এসব খাবার পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হলেও, সব ফল ও ড্রাই ফ্রুটস কিন্তু সকালের খাদ্য তালিকায় রাখা ঠিক নয়। কিছু ফল ও ড্রাই ফ্রুটস রোজ সকালে খেলে ওজন কমার বদলে বেড়ে যেতে পারে। এমনকি রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রাও হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কিছু ফল ও ড্রাই ফ্রুটসের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) অনেক বেশি, যা সকালে খাওয়ার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। আবার কিছু ফল একসঙ্গে খেলে হতে পারে হজমের সমস্যা। চলুন, জেনে নিই যেসব ফল সকালের নাস্তায় খাওয়া উচিত নয়।
পাকা আম ও কাঁঠাল
এই দুই ফলে প্রাকৃতিক চিনির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি।
ফলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও বেশি থাকে। সকালের খাবারে এই ফলগুলো রাখলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যেতে পারে।
কলা
বেশি পাকা কলায় শর্করার পরিমাণ অনেক বেশি। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সকালের খাদ্যতালিকায় কলা রাখাটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
তবে নির্দিষ্ট পরিমাণে কলা খেলে পটাশিয়াম ও ফাইবার পাওয়া যায়। যা শক্তি জোগায় ও হজমে সাহায্য করে।
আনারস
এই ফলটিও উচ্চমাত্রার প্রাকৃতিক চিনি বহন করে। প্রি-ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগা ব্যক্তিদের সকালে আনারস এড়িয়ে চলাই ভাল।
তরমুজ ও লিচু
এই দুই ফল একসঙ্গে বা বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত নয়।
তরমুজ দ্রুত হজম হয়, কারণ এতে পানির পরিমাণ বেশি। অন্যদিকে, লিচু হজম হতে সময় নেয়। একসঙ্গে খেলে হতে পারে গ্যাস বা বদহজম। বিশেষত যারা ফলের সালাদ খান, তাদের এই বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি।
সকালের জলখাবারে যে ড্রাই ফ্রুটসগুলো এড়িয়ে চলা উচিত:
কিশমিশ :
স্বাদে মিষ্টি ও পুষ্টিকর হলেও কিশমিশে প্রাকৃতিক চিনির মাত্রা খুব বেশি। রোজ সকালে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
শুকনো ডুমুর
এই ড্রাই ফ্রুটেও চিনি ও ফাইবারের পরিমাণ বেশি। সকালে খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে এবং রক্তে গ্লুকোজ বেড়ে যেতে পারে।
অ্যাপ্রিকট
সুস্বাদু হলেও সকালে বেশি অ্যাপ্রিকট খাওয়া ঠিক নয়। এতে গ্যাসের সমস্যা বাড়ে, এমনকি রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে।
কিউই
অনেক কিউইতে সালফারের উপস্থিতি বেশি থাকে। সকালে খেলে শরীরে টক্সিন জমতে পারে বলে মনে করছেন পুষ্টিবিদরা। তাই এটি এড়িয়ে চলাই ভাল।
খেজুর
প্রাকৃতিক চিনি ও উচ্চ ক্যালরি থাকায় খেজুর সকালের ডায়েটে থাকা উচিত নয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এটি একেবারেই নিষেধ।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম