
রূপচর্চা মানেই দামি প্রসাধনী আর পার্লারের ব্যয়বহুল ট্রিটমেন্ট নয়। প্রকৃতির কাছেই লুকিয়ে আছে সৌন্দর্যের চাবিকাঠি— শুধু জানতে হবে কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। এমন অনেক উপাদানই আমাদের প্রতিদিনের রান্নাঘরে রয়েছে, যেগুলোর উপকারিতা আমরা অবহেলা করি। তারই একটি হলো ভাতের মাড়।
যা সাধারণত আমরা ফেলে দিই, অথচ এটি ত্বক ও চুলের যত্নে হতে পারে দারুণ কার্যকর। এই ঘরোয়া উপাদান দিয়ে আপনি পেতে পারেন প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা, মসৃণ ত্বক আর সুস্থ, ঝলমলে চুল— তাও কোনো রকম রাসায়নিক ছাড়াই। চলুন, জেনে নিই বিস্তারিত।
ত্বকের যত্নে ভাতের মাড়
ভাতের মাড় প্রাকৃতিক টোনারের মতো কাজ করে।
এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং রোদে পোড়া ত্বকে প্রশান্তি আনে। এ ছাড়া ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যা কমাতেও এটি কার্যকর।
ফেসপ্যাক
উপকরণ: ২ চামচ ভাতের ফ্যান + ১ চামচ মধু
পদ্ধতি: ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগান, ৩০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
এতে ত্বক হয় কোমল, মসৃণ ও উজ্জ্বল।
ফেস স্প্রে
উপকরণ: ৪ চামচ ভাতের ফ্যান, ১ চামচ অ্যালোভেরা জেল, গোলাপ জল
পদ্ধতি: স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। দিনে ২-৩ বার মুখে ছিটিয়ে ব্যবহার করুন।
উপকার: এটি ফেসওয়াশের মতো কাজ করে, ত্বক থাকে সতেজ।
চুলের যত্নে ভাতের ফ্যান
ভাতের ফ্যান প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবেও দারুণ কাজ করে। এটি চুলকে নরম করে, রুক্ষতা কমায় ও গোড়া মজবুত করে।
কন্ডিশনার প্যাক
উপকরণ: ভাতের ফ্যান + একটি লেবুর রস
পদ্ধতি: চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করুন।
উপকার: রুক্ষতা দূর হয়, চুল হয় মসৃণ ও উজ্জ্বল। ডগা ফাটা কমে।
চুল রং করার প্যাক
উপকরণ: ভাতের ফ্যান + কফির গুঁড়ো
পদ্ধতি: একটি প্যাক তৈরি করে চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করুন।
উপকার: নিয়মিত ব্যবহারে চুলে হালকা বাদামি রঙ আসে, প্রাকৃতিকভাবেই।
ভাতের মাড় যেটিকে আমরা ফেলনা মনে করি, সেটাই হতে পারে আপনার রূপচর্চার সেরা উপকরণ। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক ও চুল—দুইই থাকবে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর, তাও একদম ঘরোয়া উপায়ে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম