
প্রসাধনী কিংবা বিজ্ঞাপনের দুনিয়ায় বারবার উচ্চারিত হয় কোলাজেনের নাম। কয়েক বছর আগেও যা অনেকের অজানা ছিল, আজ তা সৌন্দর্যচর্চার অপরিহার্য বিষয় হয়ে উঠেছে। কোলাজেন আসলে ত্বকের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। এর ফলেই দেখা দেয় বলিরেখা, কুঁচকে যায় ত্বক।
এই তথ্য জানার পর থেকেই অনেকেই তারুণ্য ধরে রাখতে কোলাজেন উৎপাদন স্বাভাবিক রাখার দিকে ঝুঁকছেন। সেই কারণেই বিভিন্ন প্রসাধনীর প্রচারেও কোলাজেনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যায়, সত্যিই কি সৌন্দর্য রক্ষায় কোলাজেনই শেষকথা? নাকি প্রচলিত ধারণার সবটাই সঠিক নয়? চলুন, জেনে নিই।
কোলাজেন কি সেরা সাপ্লিমেন্ট?
অনেকের বিশ্বাস প্রসাধনীতে কোলাজেন থাকলেই ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও টানটান।
কোলাজেন ত্বকের জন্য অপরিহার্য প্রোটিন, তবে কেবল প্রসাধনীর মাধ্যমে এর ঘাটতি পূরণ সম্ভব নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে কোলাজেন স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পায়। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা, সুষম খাদ্যাভ্যাস ও পর্যাপ্ত পানি গ্রহণই কোলাজেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
তারুণ্য ধরে রাখায় ভূমিকা
অনেকে মনে করেন, কোলাজেনই তারুণ্যের রহস্য।
কথাটি একেবারেই ভুল নয়। ত্বকের আর্দ্রতা ও টানটান ভাব বজায় রাখতে কোলাজেন অপরিহার্য। তবে বয়সের প্রভাবে এটিকে পুরোপুরি ধরে রাখা সম্ভব নয়। সময়ের সঙ্গে বয়সের ছাপ পড়বেই।
শুধু বয়স হলে নয়, আগে থেকেই দরকার
সাধারণত কোলাজেনের ঘাটতি টের পাওয়া যায় বয়সকালে, তখনই অনেকে চিন্তিত হন।
অথচ বয়স বাড়ার অপেক্ষা না করে, ৩০-এর পর থেকেই ডায়েটে কোলাজেনসমৃদ্ধ খাবার রাখা ভালো। মাছ, মাংস, ডিম, মুরগির ঝোল, গাজর, বেরি জাতীয় ফল, বাদাম ইত্যাদি নিয়মিত খেলে ত্বকের তারুণ্য দীর্ঘদিন বজায় রাখা যায়। ত্বকের ক্ষতি হওয়ার পর যত্ন নেওয়ার চেয়ে আগেভাগেই সতর্ক হওয়াই উত্তম।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম