
পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। এ সফরে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সরকারের অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আলোচনায় উঠে আসে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, কূটনৈতিক বিনিময় বাড়ানো এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল পুনরায় চালুর বিষয়।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দুই দেশের এ ঘনিষ্ঠতা ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইসহাক দার শুধু সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গেই নয়, বরং বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, বিএনপি এবং শেখ হাসিনাকে উৎখাতের আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকা ছাত্রনেতাদের প্রতিনিধি দল।
২০২৬ সালের গোড়ার দিকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পাকিস্তানের এই ধরনের রাজনৈতিক যোগাযোগ নয়াদিল্লির কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একটি বড় অভিযোগ ছিল ভারতের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সমালোচকদের মতে, এই অভিযোগ থেকেই বিরোধী শিবিরে ভারতবিরোধী মনোভাব আরও জোরদার হয়েছে।
আর এরই ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের এই সপ্তাহান্তে বাংলাদেশ সফর ইসলামাবাদ এবং ঢাকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নাটকীয় পরিবর্তনের সর্বশেষ পদক্ষেপ।
ভারত ঐতিহাসিক কারণে বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক শক্তির ওপর আস্থা রাখতে দ্বিধাগ্রস্ত। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মনে করেন, নয়াদিল্লির এখন ঢাকার সঙ্গে নতুনভাবে কাজ করার পথ খুঁজে বের করা জরুরি। কারণ, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান পাকিস্তানি প্রভাব শুধু রাজনৈতিক নয়, বরং নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি করছে বলে মনে করছে নয়াদিল্লি—যা ভারত উপেক্ষা করতে পারে না।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম