
ল্যাটিন আমেরিকান মাদক কার্টেলদের মোকাবেলায় ভেনেজুয়েলার উপকূলে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর প্রেক্ষিতে নৌ-টহলের নিদের্শ দিয়েছে ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে যুদ্ধজাহাজ ও ড্রোন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। এর আগে ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলার জলসীমায় যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করার পর উপকূলরেখায় টহল দেয়ার জন্য সামরিক জাহাজ এবং ড্রোন পাঠানো হবে।
গত সপ্তাহে ওয়াশিংটন ভেনেজুয়েলার উপকূলে তিনটি যুদ্ধজাহাজের একটি উভচর স্কোয়াড্রন মোতায়েন করার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। স্কোয়াড্রন মোতায়েনের কারণ হিসেবে ল্যাটিন আমেরিকান মাদক কার্টেলদের বিরুদ্ধে একটি অভিযান বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, দুটি মার্কিন জাহাজ- একটি গাইডেড মিসাইল ক্রুজার এবং একটি পারমাণবিক-চালিত দ্রুত আক্রমণকারী সাবমেরিন, ক্যারিবীয় অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে। বহরে রয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ মার্কিন সার্ভিস সদস্য। এর মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ২০০ মেরিন সদস্য।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে কোকেন পাচার এবং মাদক কার্টেলের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগের পর মার্কিন নৌবাহিনীর এই প্রস্তুতি শুরু হয়।
ওয়াশিংটন ঘোষণা করেছে, মাদকের অভিযোগে মাদুরোকে ধরা বা বিচারের জন্য পুরস্কার দ্বিগুণ করে ২৫ মিলিয়ন ডলার থেকে ৫০ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে। এছাড়া ভেনেজুয়েলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিওসদাদো ক্যাবেলোকে গ্রেপ্তার বা বিচারের জন্য ২৫ মিলিয়ন পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে, মাদুরো অভিযোগগুলো নাকচ করে দিয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তার দেশে শাসন পরিবর্তনের প্ররোচনার চেষ্টা করার অভিযোগ এনেছেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম