
পূজা আসছে। এখন থেকেই শুরু হয়ে গেছে তোরজোড়। ত্বকের প্রস্তুতি হিসেবে পূজা শুরুর আগে অনেকেই হয়তো চাচ্ছেন হাইড্রা ফেসিয়াল করতে। হাইড্রা ফেসিয়াল ত্বকের গভীরে পৌঁছে ত্বককে সতেজ ও সুন্দর করতে সাহায্য করে। ত্বকের ময়লা দূর করে, ওপেন পোরসের সমস্যা কমায়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এ ফেসিয়াল। ব্রণের সমস্যা, হোয়াইট হেডস, ব্ল্যাকহেডসও কমাতে সাহায্য করে হাইড্রা ফেসিয়াল। অর্থাৎ ত্বকের সব ধরনের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে প্রাণবন্ত করে তোলে। তবে এ ফেসিয়াল সবার জন্য নয়।
শোভন’স মেকওভারের স্বত্বাধিকারী ও কসমোটেলোজিস্ট শোভন সাহা জানান, মূলত যাদের ত্বকে ডিপ ক্লিনজিং দরকার, যাদের ত্বক ব্রণপ্রবণ তাদের জন্য এ ফেসিয়াল উপযোগী। যাদের ত্বকে হাইপার পিগমেন্টেসন, মেছতা, আনইভেন টোন বা অসম দাগ, বাদামি দাগ, রিঙ্কেল বা ফাইন লাইন, সানট্যান, বড় পোরস আছে তারা এ ফেসিয়াল করতে পারবেন।
হাইড্রা ফেসিয়াল পনেরো বছরের ঊর্ধ্বে যে কেউ করতে পারবে। যারা কোনো ধরনের সৌন্দর্য সেবা নিয়ে উপকার পান না, তারা এ ফেসিয়াল করতে পারেন। নির্দিষ্ট নিয়মে ত্বকের মরা চামড়াগুলো তুলে ফেললে পরবর্তীতে অন্য যেকোনো স্কিন ট্রিটমেন্ট ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে কাজ করে।
হাইড্রা ফেসিয়াল করার আগে ত্বক পরীক্ষা করে নিতে হবে। অতিরিক্ত সেনসিটিভ ত্বকে এ ফেসিয়াল করা যাবে না। অ্যালার্জির সমস্যা আছে এমন ধরনের ত্বকে হাইড্রা ফেসিয়াল খুব সাবধানে করতে হবে। অল্প বয়সীদের এ ফেসিয়াল করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
শোভন সাহা বলেন, ‘ বয়স পনেরো হলেই শখ করে হাইড্রা ফেসিয়াল করা যাবে না। ত্বকে যদি প্রয়োজন হয় তবেই ফেসিয়ালটি করা যাবে। বয়সন্ধির সময়ে মুখে প্রচুর ব্রণ ওঠে। ব্রণ পরিষ্কার না করলে দাগ হবে, দাগ থেকে গর্ত হয়ে যাবে। এ অবস্থায় হাইড্রা ফেসিয়াল করা জরুরি।’
হাইড্রা ফেসিয়াল করার পরের সাবধানতা
হাইড্রাফেসিয়াল করার পর তিন থেকে চারদিন রোদ লাগানো যাবে না। রান্না ঘরে চুলার সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না। ত্বকে বেশি করে সানব্লক দিতে হবে। কেননা এ ফেসিয়ালে বেশি করে এক্সফোলিয়েট করা হয়। এ কারণে ত্বক পাতলা হয়ে যায়। তাই ধুলাবালি, রোদ যেন ত্বকে না লাগে সে ব্যাপারে সাবধান থাকতে হবে। ত্বক ভালো রাখতে ভিটামিন সি যুক্ত সিরাম, ক্রিম, ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম