গুলিবিদ্ধ হওয়ার দিন থেকে এখন পর্যন্ত শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে অবনতি না হওয়ায় সর্বোচ্চ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের হাসপাতালের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসার পার্থক্য খুব একটা নেই। কিন্তু ইনফেকশনের (সংক্রমণ) কারণে তাকে সিঙ্গাপুরের জেনারের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে দেড়টায় ওসমান হাদীর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বোডের প্রধান ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. জাফর ইকবালের বরাত দিয়ে হাদীর চিকিৎসার সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা ঢাকা মেডিকেল কলেজ নিউরোসার্জারী বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ এলায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্য সচিব ডা. আব্দুল আহাদ এসব তথ্য জানান
ডা. আহাদ বলেন, "হাদির শারীরিক অবস্থা আগের মতই রয়েছে। উন্নতি না হলেও অবনতি হয়নি। ফুসফুসের সমস্যা আগের মত রয়েছে। নতুন করে কোনো মিটি স্ক্যান হয়নি। তবে মেডিকেল বোর্ড সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হাদির শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী রেফার করতে (দেশের বাইরে নিতে) বাধা নেই। এজন্য সিঙ্গাপুর থেকে যে টিম এসেছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশটির জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হবে তাকে।"
তিনি বলেন, "বাংলাদেশের চিকিৎসার সঙ্গে সিঙ্গাপুরের চিকিৎসার খুব বেশি পার্ধক্য নেই। কিন্তু ইনফেকশনের কারণে তাকে বাইরে নিতে হচ্ছে। এখনো তার মস্তিষ্কের অবস্থা উদ্বেগজনক। মস্তিষ্কে অক্সিজেন স্বল্পতা রয়েছে। তার ফিরে আসা কঠিন। তবে জুলাই বিপ্লবে আমরা হাদির মত অনেকের সংকট মুহূর্তের রোগীকে ফিরে আসতে দেখেছি। আশা করছি তিনিও সুস্থ হবেন।"
এই চিকিৎসক বলেন, "হাদির সঙ্গে সার্বক্ষণিক তার দুই ভাই থাকবেন। আমরাও সবসময় খোঁজ রাখব। কোনো ধরনের সংকট দেখা দিলে মোকাবিলা করা হবে। তার চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে। নকি এভারকেয়ার হাসপাতালে যত টাকা বিল এসেছে, সেগুলোও পরিশোধ করবে সরকার।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

