
নিজস্ব প্রতিবেদক: গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয় তৎকালীন সরকার। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও আন্দোলনকারীদের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ। তবে এ দাবির ৯ মাস পার হলেও এখনো ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়নি।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার জানিয়েছিল, জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশে তারা আগামী ৩০ কার্যদিবস সময় নিচ্ছে। ইতোমধ্যে সেই সময়ের চার দিন অতিবাহিত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতেই সরকারকে প্রতিশ্রুত সময়সীমা মনে করিয়ে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতা ও আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা হাসনাত আবদুল্লাহ।
শুক্রবার (১৬ মে) ফেসবুকে জুলাই আন্দোলনের সময়কার একটি ভিডিও শেয়ার করে হাসনাত লিখেছেন—"জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার আর বাকি ২৬ কর্মদিবস।"
ভিডিওটিতে আন্দোলনের সময়কার একটি বক্তব্য দেখা যায়, যেখানে সাবেক সরকারের সময়কার দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরা হয়।
এর আগে, ৩১ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতা শহিদ মিনারে ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চাইলে, সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘোষণাপত্র প্রকাশের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।
পরবর্তীতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ছাত্র-জনতা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করে। এবার নতুন করে ৩০ কার্যদিবস সময় চেয়ে সরকার জানায়, এ সময়ের মধ্যেই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘোষণাপত্র আন্দোলনকারীদের কাছে শুধু প্রতীকী নয়, বরং নতুন রাজনৈতিক কাঠামো ও সংস্কারের একটি নীতিগত রূপরেখাও বটে। তাই ঘোষণাপত্র প্রকাশে বিলম্ব রাজনৈতিক আস্থার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম