শেখ হাসিনার পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

মঙ্গলবার,

১৬ ডিসেম্বর ২০২৫,

২ পৌষ ১৪৩২

মঙ্গলবার,

১৬ ডিসেম্বর ২০২৫,

২ পৌষ ১৪৩২

Radio Today News

শেখ হাসিনার পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:১০, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ০৭:৪১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

Google News
শেখ হাসিনার পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার

পুরোনো রাষ্ট্রব্যবস্থা ব্যবহার করে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পুরোনো রাষ্ট্র ব্যবস্থাটা টিকিয়ে রাখা হয়েছে। পুরোনো রাষ্ট্রব্যবস্থা ব্যবহার করে হাদিকে গুলি করা হয়েছে। এর জন্য আসিফ নজরুল দায়ী, অধ্যাপক ইউনূস দায়ী। 

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আততায়ী রাজনীতি ও গণকর্তব্য’ শীর্ষক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভাব বৈঠকি ও গণঅভ্যুত্থান সুরক্ষা মঞ্চ। 

ফরহাদ মজহার বলেন, হাদিকে হত্যার যে চেষ্টা, সেটি ৮ আগস্টে শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার পরিণতি। এটি কাউকে নিরাপদ রাখবে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আসিফ নজরুল পদত্যাগ করলেও ‌‘হাসিনাহীন হাসিনা ব্যবস্থা’ চলে যাবে না। মূলত একটা শক্তিশালী অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে হবে। 

তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদি একমাত্র টার্গেট নয়। গণঅভ্যুত্থানে যত তরুণ অংশগ্রহণ করেছে, যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল, হাদিকে গুলি করার মধ্য দিয়ে সেই টার্গেটদের সুনির্দিষ্ট করেছে শেখ হাসিনার সন্ত্রাসী বাহিনী। 

ফরহাদ মজহার বলেন, ৮ তারিখে যখন শপথ গ্রহণ করা হয়েছে, তখন বারবারই সাবধান করেছি, এর ফলে যেটি ঘটবে, বাংলাদেশ প্রচণ্ড বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়বে। হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মূলত তারই প্রথম নমুনা। ৮ আগস্টে সংবিধানের কথা বলে ‘হাসিনাহীন হাসিনাব্যবস্থা’ কায়েম রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনার সংবিধান রক্ষা করার শপথ নিয়ে বর্তমান উপদেষ্টা সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে পারিনি। সবাই ব্যবহার করে যে- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এটা ভুল কথা। এটা একটা উপদেষ্টা সরকার। এই উপদেষ্টা সরকার সেনাবাহিনীর সমর্থনে টিকে আছে। এই সরকারের কোনো নৈতিক, আইনি বা রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। 

তিনি বলেন, বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে স্বাধীন নয়। তারা সব সময় নির্বাহী বিভাগ ও আইন প্রণয়নে বিভাগের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে। বিচার বিভাগ কখনোই জনগণের অভিপ্রায়ের ঊর্ধ্বে নয়। বরং জনগণের অভিপ্রায়ের অধীন। এই গণঅভ্যুত্থানের সৈনিক যারা, তাদের ওপর যদি কোনো আঘাত আসে তার জন্য বিচার বিভাগ দায়ী থাকবে। 

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের