জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করছেন বিএনপি নেতারা
সরকারের উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণেই ‘করোনা সংক্রমণে জনজীবন বিপন্ন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঈদের নামাজ শেষে সকালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারতের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এই মুহুর্তে এই সরকারের উদাসীনতা ও অযোগ্যতার কারণে জনগনের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। আমরা আজকে এখানে জিয়ারত করে পরম করুনাময় আল্লাহতালার কাছে এই দোয়া করেছি যে, তিনি যেন এই ভয়াবহ মহামারী যা সারাবিশ্বে সমগ্র মানবজাতিকে বিপন্ন করে ফেলেছে তা থেকে রক্ষা করেন, আল্লাহ তায়ালা যেন এই দেশের মানুষকে ক্ষমা করেন এবং এই ভয়াবহ মহামারী থেকে তাদেরকে মুক্ত করেন।
ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, এমন একটা সময়ে আমরা ঈদুল আজহা পালন করছি, যখন আমাদের চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি সারাজীবন ত্যাগ স্বীকার করে এদেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছেন, গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন তিনি আজকে কারারুদ্ধ হয়ে আছেন অসুস্থবস্থায়। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিনি দেশান্তরী হয়ে নির্বাসিত অবস্থায় আছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষ আজকে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত হচ্ছে, গুম হয়ে যাচ্ছে-এই একটা অবস্থা বাংলাদেশে বিরাজ করছে। গণতন্ত্রহীনতার এই সময়ে আল্লাহতালার কাছে আমরা প্রার্থনা করেছি, দোয়া চেয়েছি আল্লাহতালা যেন এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, আল্লাহ তায়ালা যেন এ দেশের মানুষকে সত্যিকার অর্থেই ১৯৭১ সালের যে স্বাধীনতার চেতনা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থা সেটা প্রতিষ্ঠা করতে আমাদেরকে সুযোগ করে দেন।
‘মাস্ক পড়ুন, নিরাপদ থাকুন’: মির্জা ফখরুল বলেন, আমি আবেদন জানাচ্ছি যে, আপনারা সবাই দূরত্ব বজায় রাখবেন, মাস্ক পড়বেন এবং নিজেকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, আমাদের দলের চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে ঈদে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে আমি ঈদ মোবারক জানাচ্ছি এবং দোয়া করছি সকলের জন্য তারা যেন করোনা মহামারী থেকে মুক্ত হতে পারেন।
সকাল ১১টা ২০ মিনিটে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব শেরেবাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে আসেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা ফাতেহা পাঠ করে বিশেষ মুনাজাত করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবসময় ঈদের দিন দলীয় কর্মসূচি শেষ করে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করতেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যাওয়ার পর দলের মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে প্রতি ঈদে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবর জিয়ারত করে আসছেন।
ঈদের দিন জাতীয় স্থায়ী কমিটির পর মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, যুব দলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ মহানগর ও যুব দলের শতাধিক নেতা-কর্মী প্রয়াত রাষ্ট্রপতির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
রেডিওটুডে নিউজ/এসআই