বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

যাদের উপর রমজানের রোজা রাখা ফরজ

রেডিও টুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩:১৬, ২৭ মার্চ ২০২৩

Google News
যাদের উপর রমজানের রোজা রাখা ফরজ

যাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ

ইসলামের ৫ টি মুল ভিত্তি স্তরের মধ্যে একটি হলো রোজা রাখা। রোজা রাখার বিধান কিন্তু সকলের ওপর বিরাজ নয়। কিছু শর্তের অবলম্বনের ভিত্তিতে রোজা ফরজ হয়। যাদের মধ্যে এই শর্ত বিদ্যমান একমাত্র তাদের জন্যই রোজা রাখা অবশ্যক।

এই মর্মে এক হাদিস হতে বর্ণিত, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, 'তোমাদের মধ্যে যারা রমজান মাস পাবে, তারা যেন এ মাসে রোজা পালন করে'। (সূরা বাকারা : আয়াত ১৮৫)
রোজা ফরজ হওয়ার কয়েকটি শর্ত রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে আসা যাক রমজান মাসে রোজা কাদের উপর ফরজ :

১. মস্তিষ্ক বিকৃত কিংবা পাগল এমন কারো উপর রোজা ফরজ নয়। একমাত্র সুস্থ সবল এবং জ্ঞানসম্পন্ন বান্দার উপরেই রোজা ফরজ। আবার কোন নাবালক এর ওপরে রোজা ফরজ নয়। শুধুমাত্র সাবালকদের ওপরে রোজা ফরজ রয়েছে। প্রত্যেকটি সাবালক বান্দার ওপরেই রোজা রাখা আবশ্যক।

এই মর্মে এক হাদিসে আলী রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত, নবীজি বলেন, তিন ধরনের ব্যক্তির ওপর থেকে বিধানের আবশ্যকতা উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।১. ঘুমন্ত ব্যক্তি - যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়। ২. নাবালক ব্যক্তি যতক্ষণ না সে সাবালক হয়।৩. পাগল যতক্ষন না সে জ্ঞান সম্পন্ন হয়। (আবু দাউদ ৪৪০৩, তীরমীজী ১৪২৩)

২. মুসাফিরদের জন্য কোনভাবেই রোজা ফরজ নয়। তবে মুসাফিররা পরবর্তীতে কাযা রোজা পালন করতে পারবে। তবে যারা মুসাফির নয় তাদের জন্য ফরজ রোজা অত্যাবশ্যাক।

৩. যারা অমুসলিম তাদের ওপর রোজার বিধান নেই। কিন্তু ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক যারা মুসলিম বান্দা তাদের উপর রোজা আবশ্যক। এই মর্মে এক হাদিস হতে বর্ণিত আল্লাহতালা বলেন, আপনি কাফেরদের বলে দিন তারা যদি (কুফর থেকে) বিরত হয়ে যায় তবে আগে যা কিছু ঘটে গেছে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।(সূরা আনফাল :৩৮)

৪. প্রসবকালীন স্রাব কিংবা ঋতুস্রাব এসব কিছু নামাজ রোজার প্রতিবন্ধক। তাই এই দুই সময়ে কোন নারীদের ক্ষেত্রে রোজা কিংবা নামাজ আদায় করা যাবে না। এই মর্মে এক হাদিস হতে বর্ণিত, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একজন নারীর ঋতুস্রাব হলে সে কি নামাজ ও রোজা ত্যাগ করে না?( বুখারী ২৯৮ )
ওপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো থেকে এটি স্পষ্ট যে, রোজা সকলের উপর ফরজ নয়। শুধুমাত্র উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো শর্তসাপেক্ষে কিছু মানুষের ওপর রোজা রাখা অত্যাবশ্যক।
মহান রাব্বুল আলামিন বিশ্বের সকল মুসলিম উম্মাহকে রোজা রাখার তৌফিক দান করুন।
(আমিন )

এস আর

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের