দুর্দান্ত ওপেনিং জুটির পরও তিনশ’ হলো না বাংলাদেশের

বৃহস্পতিবার,

২৩ অক্টোবর ২০২৫,

৮ কার্তিক ১৪৩২

বৃহস্পতিবার,

২৩ অক্টোবর ২০২৫,

৮ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

দুর্দান্ত ওপেনিং জুটির পরও তিনশ’ হলো না বাংলাদেশের

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

Google News
দুর্দান্ত ওপেনিং জুটির পরও তিনশ’ হলো না বাংলাদেশের

স্পিনের স্বর্গে পরিণত হয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট। শেষ ম্যাচ আবার ব্যবহৃত সপ্তম উইকেটে। প্রথম ম্যাচের স্পিন ঘূর্ণি দ্বিগুন হয়ে ৬.৫ ডিগ্রী ছাড়াবে; এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু টস জিতে ব্যাটিংয়ে এসে সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান দুর্দান্ত শুরু করেন। একশ’ ছাড়ানো স্ট্রাইক রেটে দু’জন ১৭৬ রানের জুটি দেন। দুই ওপেনার সেঞ্চুরি মিস করলেও বড় সংগ্রহের পথে দলকে রেখে যান। কিন্তু শেষভাগে রঙ চটা বলের স্পিনের ফাঁদে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২৯৬ রানে আটকে গেছে। 

অথচ সৌম্য ও সাইফের দেওয়া জুটিতে ভর করে ৩১.৪ ওভারে ২০০ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে আড়াইশ’ রানে যেতে ৪২.৫ ওভার লাগে বাংলাদেশের। শেষটায় শট খেলার চেষ্টা করেও রঙ চটে যাওয়া বলে ব্যর্থ হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়, মাহিদুল অঙ্কন কিংবা রিশাদ-মিরাজরা।

বৃহস্পতিবার নতুন বলে সাবলীল শুরু করেন সৌম্য ও সাইফ। ওপেনিংয়ে ১৩ ম্যাচ পর দলকে ৫০ রানের জুটি এনে দেন তারা। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রায় তিন বছর পর ওপেনিংয়ে শত রানের দেখাও পায় বাংলাদেশ। মিরপুর স্টেডিয়ামে দশ বছর পর ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের শতরানের জুটি দেখেন ভক্তরা। ওই জুটি দুইশ’ রানের পথে হাঁটছিল। সাইফের বিদায়ে ভাঙে ওই জুটি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির ইনিংস ৭২ বলে ৮০ রানে নিয়ে থামেন। ছয়টি করে চার ও ছক্কা তোলেন তিনি।

পরেই সেঞ্চুরি মিস করে আউট হন সৌম্য সরকার। তিনি ৮৬ বলে ৯১ রান করেন। সাতটি চার ও চারটি ছক্কা মারা বাঁ-হাতি ব্যাটার সীমানায় ক্যাচ দিয়ে হতাশ হন। দলের ১৮১ রানে আউট হন তিনি। তাদের দেওয়া দুর্দান্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েও নড়বড়ে ছিলেন তাওহীদ হৃদয়। তিনে নামা ব্যাটার ধুঁকে ধুঁকে ৪৪ বলে ২৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দলের ২৫২ রানে নাজমুল শান্ত  ৫৫ বলে ৪৪ রান করে ফেরেন। শুরুতে ধীরে ব্যাটিং করা সাবেক এই ওয়ানডে অধিনায়ক শুরুতে ধীরে ব্যাটিং করলেও পরে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে খানিকটা পুষিযে দেন।

শেষটায় নুরুল হাসান সোহান ৮ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৬ এবং অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ ১৭ বলে ১৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বাঁ-হাতি স্পিনার আকিল হোসেন ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। পার্ট টাইম স্পিনার আলিক আথানজে ৭ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ৫০ ওভারই স্পিন দিয়ে করানোর ইতিহাস গড়া ক্যারিবীয়রা এদিন ৪৩ ওভার স্পিনার দিয়ে বল করিয়েছেন।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের