
প্রথমে মুখ থুবড়ে পড়ল প্রবল প্রতাপে ছুড়ে চলা ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ। শুরুর সফলতা ধরে রাখতে পারলেন না দুর্দান্ত ছন্দে থাকা বোলাররাও। প্রায় দেড়শ কোটি ভারতীয় সমর্থকদের কাঁদিয়ে আবারও বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করল অস্ট্রেলিয়া। রেকর্ড ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ে অজিদের এবারের নায়ক ট্রাভিস হেড।
আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসরের ফাইনালে রোববার ভারতকে ৬ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪০ রানে গুটিয়ে যায় রোহিত শর্মার দল। জবাবে ৪২ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌছে যায় প্যাট কামিন্সের দল।
ফিল্ডিংয়ের সময় রোহিত শর্মার অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিয়েছিলেন হেড। এরপর পাল্টে যায় ম্যাচের গতিপথ। পরে ব্যাট হাতেও ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন হেড। খেলেন ১২০ বলে ১৫টি চার ও ৪ ছক্কায় ১৩৭ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস। সেমিফাইনালে দক্ষিন আফ্রিকাকে হারানো ম্যাচেও অস্ট্রেলিয়ার নায়ক ছিলেন হেডই।
অস্ট্রেলিয়ার ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারানোর পরের গল্পটুকুর নাম ‘ভারতীয় হতাশা’। মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে গড়েন চতুর্থ উইকেটে ২১৫ বলে ১৯২ রানের রেকর্ড জুটি। জয় থেকে স্রেফ ২ রান দূরে থাকতে বাউন্ডারিতে ক্যাচ আউট হন এই ওপেনার। লাবুশেন অপরাজিত থাকেন ১১০ বলে ৫৮ রানে।
অথচ এই হেডই কিনা শুরুতে ছিলেন না অস্ট্রেলিয়া দলে। চোট কাটিয়ে টুর্নামেন্টের মাঝপথে দলের সঙ্গে যোগ দেন এই টপঅর্ডার।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষতা এক লাখ ৩০ হাজার। সেখানে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থক ছিল একেবারেই হাতে গোনা। পুরো স্টেডিয়াম সেজেছিল নীল সমুদ্রে। দুই ইনিংসের শুরুর দিকে যা একটু গর্জে ওঠার সুযোগ পায় পুরো গ্যালারি।
দুই ইনিংসেরই প্রথম দশ ওভার ছিল ভারতের। প্রথমে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখেছিল রোহিত শর্মার ব্যাটে। ১০ ওভারে তারা তুলে ফেলে ৮০ রান। রোহিত আউট হতেই থেমে যায় গ্যালারির তর্জন-গর্জন। এরপর ছিল কেবল হলুদ উদযাপন।
বল হাতেও ৭ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে স্বাগতিক সমর্থকদের আশা দেখিয়েছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামিরা। কিন্তু ম্যাচের বাকি গল্প কেবল হেডকে ঘিরে। যেখানে পুরো গ্যালারি যেন নীরব দর্শক।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম