আটকৃতদের গাড়িতে তোলা হচ্ছে
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের মধ্যে মালয়েশিয়ায় চলছে অবৈধ অভিবাসী ধরপাকড় অভিযান।রোববার (২০ জুন) দিবাগত রাতে অভিবাসন বিভাগের অভিযানে বাংলাদেশি সহ ৩০৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বারনামার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে- রাত সাড়ে বারোটা থেকে আড়াইটা অবধি চলা ধরপাকড় অভিযানে সেলাঙ্গর প্রদেশের মুকিম, ডেংকিল এলাকার একটি কনস্ট্রাকশন সাইট থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১০২ জন বাংলাদেশি, ১৯৩ জন ইন্দোনেশীয়, ৮ জন মিয়ানমার (রোহিঙ্গা), ৪ জন ভিয়েতনাম, ২ জন ভারতের নাগরিক রয়েছেন। তন্মধ্যে ২৮০ জন পুরুষ এবং ২৯ জন নারী। নারীদের মধ্যে সবাই ইন্দোনেশিয়ান।
অভিবাসন বিভাগের মতে, বিভিন্ন অপরাধে ২০ থেকে ৫২ বছর বয়সী এই প্রবাসীদের ১৯৫৯/৬৩ এর ইমিগ্রেশন আইন এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ এর আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরআগে গত ৬ জুন দেশটির সাইবারজায়ার একটি বিল্ডিং নির্মাণ স্থাপনা থেকে ৬২ জন বাংলাদেশি সহ ১৫৬ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি ইন্দেরা খায়রুল দাযাইমি দাউদের নেতৃত্বে অভিবাসন বিভাগ, জেনারেল মুভমেন্ট টিম (পিজিএ) জাতীয় নিবন্ধনকরণ বিভাগ (জেপিএন), জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং শ্রম বিভাগের ১৮৯ জন কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পরিচালিত এই অভিযানে ৭১৫ জন অভিবাসী আটকের পর কাগজপত্র যাচাই শেষে ৩০৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত অভিবাসীদের প্রথমে করোনা রিপোর্ট টেস্ট করা হবে। পরে সেমেনিয়াহ ডিটেনশন সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে জানায় অভিবাসন বিভাগ। সংশ্লিষ্ট বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল দাযাইমি দাউদ জানিয়েছেন, স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে গোপনে অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায়- মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (পিকেপি) এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) না মেনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গাদাগাদি করে করে থাকছিলেন এসব প্রবাসী অভিবাসী।