মঙ্গলবার,

০১ জুলাই ২০২৫,

১৬ আষাঢ় ১৪৩২

মঙ্গলবার,

০১ জুলাই ২০২৫,

১৬ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ দিয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা জারি

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ৩০ জুন ২০২৫

Google News
ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ দিয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা জারি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ দিয়ে ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সোমবার (৩০ জুন) ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০২৫’ গেজেট আকারে প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

এতে বলা হয়েছে, কেন্দ্র স্থাপনে ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি’র সমন্বয়ে কমিটি থাকছে না। নির্বাচন কর্মকর্তাদের কর্তৃত্বেই রাখা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র স্থাপন।

এবারের নীতিমালায় মহানগর, জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে ‘ভোটকেন্দ্র স্থাপন কমিটি রাখা হয় নি। পাশাপাশি বাদ দেয়া হয়েছে ইভিএমে ভোট দেয়ার জন্য কক্ষ নির্ধারণের বিষয়টি।

২০২৩ সালের ভোটকেন্দ্র নীতিমালায় ভোটকেন্দ্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে ডিসি ও এসপিদের সমন্বয়ে একটি জেলা কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন। এ কমিটির মাধ্যমেই ভোটকেন্দ্র স্থান নির্ধারণ ও পুনর্বিন্যাসের সিদ্ধান্ত নেয়া হত। তবে এই কমিটিগুলোর নিরপেক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠে। বর্তমান ইসি ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালায় ডিসি-এসপির কর্তৃত্ব বাদ দিয়ে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রেখেছে।

গত ২১ মে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন ইসির পঞ্চম কমিশন ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা’ অনুমোদন করা হয়। সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো.  সানাউল্লাহ বলেছেন, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালায় যে কমিটি ছিল আমরা তা বিলুপ্ত করেছি। এটা কমিশনের অধীনে আনা হয়েছে। যেহেতু ইভিএমে ভোটের ব্যবস্থা নেই, তাই ইভিএম সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো আমরা বাতিল করেছি।

নীতিমালা অনুযায়ী, বরাবরের মতো গড়ে ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোট কেন্দ্র, গড়ে ৫০০ জন পুরুষ ও ৪০০ জন নারী ভোটারের জন্য একটি ভোট কক্ষ নির্ধারণ করা হবে। এবার সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো এগিয়ে রাখছে ইসি। ইতোমধ্যে খসড়া আচরণবিধিও প্রকাশ করেছে।

সবশেষ ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্র ছিল। ভোটকক্ষ ছিল ২ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। এবার সাড়ে ১২ কোটি ভোটারের জন্য আরও বেশি ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ দরকার হবে। ভোটকেন্দ্র নিয়ে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করে ভোটের অন্তত ২৫ দিন সব ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের