
সংগৃহীত ছবি
ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলের সুগন্ধা নদীতে পুড়ে যাওয়া বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চটি থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন অন্তত ৭২ জন। তাদের বরিশালের শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর নদীর দুই পাড়ে অসংখ্য মানুষের ভিড় লেগে আছে। স্বজন হারানোদের কান্নার রোলে সুগন্ধার আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে উঠেছে। লাশের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে মৃতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে কাজ করছে পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা ও ঝালকাঠির কোস্টগার্ড সদস্যরা।
আগুনে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যাওয়ার কারনে বেশিরভাগেরই পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানিয়েছেন ভোর পাঁচটার দিকে লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণ আসার পর তারা সবগুলো ফ্লোরে অভিযান চালাচ্ছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রায় চারশ' যাত্রী নিয়ে রাজধানীর সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায় লঞ্চটি। বরগুনা যাওয়ার পথে চাঁদপুর ও বরিশাল টার্মিনালে থামে লঞ্চটি এবং যাত্রী উঠানামা করে। শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠীর সুগন্ধা নদীতে পৌঁছালে লঞ্চটিতে আগুন লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিটের চেস্টায় ভোর ৫টা ২০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ঝালকাঠী সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নে লঞ্চটি ভেড়ানো হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/এমএস/ইকে