বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪,

১৪ চৈত্র ১৪৩০

বৃহস্পতিবার,

২৮ মার্চ ২০২৪,

১৪ চৈত্র ১৪৩০

Radio Today News

ইউএনওর বিরুদ্ধে ফুটবল ট্রফি ভাঙ্গার অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল

রেডিওটুডে ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১১, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

Google News
ইউএনওর বিরুদ্ধে ফুটবল ট্রফি ভাঙ্গার অভিযোগ, ভিডিও ভাইরাল

সংগৃহিত ছবি

ফুটবল খেলার ট্রফি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেরুবা ইসলামের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরাল হলে স্থানীয়দের মধ্যে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠে। ইউএনওর এমন আচরণের ঘটনায় স্থানীয়রা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

এই ঘটনায় আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম তার ভেরিফাইড ফেসবুকে ইউএনওকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম জানান, ফুটবল খেলায় টাইব্রেকারে একটা দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। খেলায় অংশগ্রহণকারীরা দাবি করেন, টাইব্রেকারে মধ্যে ভুল আছে, পুনরায় আমরা খেলতে চাই। ইউএনও তখন বক্তব্য করছিলেন। বক্তব্য দেয়ার সময় হঠাৎ ইউএনও নিজেই ট্রফিগুলো ভেঙে ফেলেন।

স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আলীকদম উপজেলার ২ নম্বর চৈক্ষং ইউনিয়ন এর রেপারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজ এর উদ্যোগে জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশের মধ্যে ফুটবল টিমের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন আলীকদম উপজেলার ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়েই উপস্থিত জনগণের সামনে ট্রফি ভেঙে ফেলেন তিনি। 

ওই ঘটনার একটি ভিডিও রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে নেটিজনদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেরুবা ইসলাম মুঠোফোনে জানান, খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের সময় হঠাৎ একজন এসে বলেন, তিন গোল চার গোল তারা মানে না। তখন আমি জানতে চাই, খেলা আবার হবে কিনা। তখন এটা নিয়ে পেছন থেকে আওয়াজ শুরু হলো তারা ট্রফি নেবে না। তারা বলল, ট্রফি যতদিন থাকবে একটা আক্রোশ থাকবে। পরে তারা বলল, ট্রফি ভেঙে ফেলা হোক। আমি বললাম, তাহলে ঠিক আছে আপনারা মেডেলগুলো নিয়ে যান।

ইউএনও আরও বলেন, সেখানে তারা সেগুলোও না নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওরাই বলেছিল ট্রফি ভেঙে ফেলা হোক। তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওখানে বহিরাগত কিছু ছেলেও এসেছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যানও নাকি তাদেরকে চেনেন না।

এদিকে আলীকদম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম জানিয়েছেন, খেলার আয়োজকরা চাঁদা তুলে ট্রফিগুলো কিনেছিল। এখনও ২৭ হাজার টাকার মতো বকেয়া আছে। আমরা এসব অনুষ্ঠানে গেলে আয়োজকদের কমপক্ষে ২০-৩০ হাজার টাকা দিই, যাতে তারা ট্রফি ও মেডেল কিনতে পারে। এজন্য আমরা সবসময় সহযোগিতা করি। কিন্তু সেখানে তাদেরকে কোনো সহযোগিতা না করে উল্টো ট্রফি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ রকম করাটা একদমই উচিত হয়নি। সেখানে তিন-চার জন জনপ্রতিনিধিও উপস্থিত ছিলেন।

ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে ইউএনও-র বিরুদ্ধে তিনি বলেন, এর দুই দিন আগে পার্কিং করা অবস্থায় দুটি মোটরসাইকেলও আনসারদের ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। এটিও আমার ফেসবুকে দিয়েছিলাম। ইউএনওর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও আমরা জানিয়েছি। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/এসবি

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের