
পদ্মা সেতুর টোল হার ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। ফেরির তুলনায় টোল হার দেড় গুণ বেড়ে যাওয়ায় এর প্রভাব পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে পড়বে বলে মনে করেন তারা। তাই তারা টোলহার পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এ বছরের জুনের শেষেই খুলছে পদ্মা সেতু। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। সড়কবাতি লেগেছে এপ্রিলেই, পিচ-ঢালাইয়ের কাজও শেষ দিকে। রোড মার্কিংসহ আনুষঙ্গিক কাজও শেষ হচ্ছে শিগগিরই।
গত মঙ্গলবার পদ্মা সেতুতে যানবাহনের টোল নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে প্রজ্ঞাপন। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সর্বনিম্ন টোল মোটরসাইকেলে ১০০ টাকা।
এ ছাড়া, প্রাইভেট কার ৭৫০, পিক আপ ১২০০, মাইক্রোবাস ১৩০০, ছোট বাস ১৪০০, বড় বাস ২৪০০, ছোট ট্রাক ১৬০০, মাঝারি ট্রাক ২৮০০ টাকাসহ মোট ১৩ ধরনের যানবাহনে টোল নির্ধারণ হয়েছে।
সেতু উদ্বোধনের দিন থেকেই আদায় হবে টোল। এর হার ফেরি পারাপারের চেয়ে দেড় গুণ বেশি। যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজেদের টাকায় তৈরি সেতুতে টোলহার আরো কম হওয়া দরকার ছিল।
পদ্মা সেতু খুললে দক্ষিণ-পশ্চিমের ১৯ জেলার যোগাযোগ সহজ হবে। দূরত্বের পাশাপাশি কমবে ফেরি ঘাটের দুর্ভোগ। এসব বিবেচনায় নতুন ভাড়া ঠিক করবে বিআরটিএ। তবে টোলহার কম হলে অল্প খরচে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করা যেত, বলছেন পরিবহন মালিকরা।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, অর্থনীতিতে দীর্ঘ মেয়াদে সুফল পেতে বড় সেতুতে টোল হার কমানোর কোনো বিকল্প নেই।
পদ্মা সেতুর টোল আদায় ও সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ করবে বিদেশি দুই প্রতিষ্ঠান, কোরিয়া এক্সপ্রেস করপোরেশন ও চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম