শুক্রবার,

১৯ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার,

১৯ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

রাঙ্গুনিয়ায় বিপুল পরিমান অবৈধ সিগারেট জব্দ

রেডিও টুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:৫১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ০১:০১, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

Google News
রাঙ্গুনিয়ায় বিপুল পরিমান অবৈধ সিগারেট জব্দ

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাটে একটি সিগারেটের স্টোরে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৭।  অভিযানে তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোর স্মার্টব্ল্যাক, সানমার, পিকক ও নেক্সাস ব্র্যান্ডসহ দেশীয় কোম্পানির রাজস্ব ফাঁকি দেয়া বিপুল পরিমান সিগারেট জব্দ করা হয়। 

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাটের তাহারিয়া স্টোরে র‌্যাব-৭ এর হাটহাজারি সিপিসি ক্যাম্প কমান্ডারের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

নকল সিগারেট জব্দের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে র‌্যাব-৭ হাটহাজারি সিপিসি-২ কোম্পানি কমান্ডার ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. সাইফুল্লাহ অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান নকল সিগারেট জব্দ হওয়ার বিষয়টি র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি। 

অভিযানে বিভিন্ন নামী কোম্পানির নকল সিগারেট ১৪২০ শলাকা এবং সরকারের রাজস্ব ফাঁকিকৃত কিছু দেশীয় কোম্পানির নকল সিগারেট এক লাখ ১৮ হাজার ৮৬০ শলাকা জব্দ করা হয়। এ সময় সিগারেটসহ তিনজনকে আটক করে র‌্যাবের হাটহাজারী সিপিসি ক্যাম্পে নিয়ে আসে।

জব্দকৃত নকল সিগারেটগুলোর মধ্যে রয়েছে হেরিটেজ টোবাকোর সিটি গোল্ড, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোবাকোর এক্সপ্রেস, উইলসন, তারা ইন্টারন্যাশনাল টেবাকোর স্মার্ট ব্ল্যাক, পিকক, সানমার ও নেক্সাস এবং এফটি টোবাকো ইজিগোল্ড।

জানা গেছে, নকল সিগারেটগুলো রানীহাটের তাহারিয়া স্টোরে পাওয়া যায়। স্টোরটির মালিক ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি। জানা গেছে অভিযানের পর স্থানীয় র‌্যাব অফিসে ছুটে যান তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকোর মালিক আবদুস সবুর লিটন। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একজন প্যানেল মেয়র। জব্দকৃত নকল সিগারেটগুলো উৎপাদনের সঙ্গে তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।   

কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ”আমি জেনেছি কিছু নকল সিগারেট জব্দ হয়েছে। বুধবার রাতে আমাদের এখানে সিগারেটগুলো আনা হয়েছে। সেটা পরিমানে কতটুকু তা বলতে পারব না। তবে খুব বেশি পরিমানে ১০ হাজারের মতো প্যাকেট হবে।” 

জব্দকৃত এসব সিগারেট নকল ও রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে উৎপাদন করায় কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের একটি প্রতিনিধি দল ভ্যাট ও প্যানেলকোর্ট আইনে মামলার উদ্দেশ্যে তাদের জিম্মায় নিয়ে যায়।

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের