মঙ্গলবার,

১৩ মে ২০২৫,

৩০ বৈশাখ ১৪৩২

মঙ্গলবার,

১৩ মে ২০২৫,

৩০ বৈশাখ ১৪৩২

Radio Today News

মায়ের ভালোবাসা ও একজন সি চিন পিং

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ১৩ মে ২০২৫

আপডেট: ১৬:২০, ১৩ মে ২০২৫

Google News
মায়ের ভালোবাসা ও একজন সি চিন পিং

বিংশ শতাব্দির আশির দশকের প্রথম দিকে, সি চিন পিং হ্যপেই প্রদেশের চেংতিং জেলায় কর্মরত ছিলেন। তার অফিসভবনটি ছিল পুরনো, স্যাঁতসেঁতে। তাই, সি প্রায়ই রোদে শুকানোর জন্য একটি গদি বাইরে বের করতেন। তখন তাঁর রঙিন প্যাচযুক্ত সেই গদি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।

আসলে সি চিন পিং যে পুরানো গদিটি প্রতিস্থাপন করতে অনিচ্ছুক ছিলেন, সেটি তাঁর মাতা ছি সিন নিজেই সেলাই করেছিলেন। ষোল বছরের কম বয়সে, উত্তর শানসির গ্রামীণ এলাকায়, একজন শিক্ষিত যুবক হিসেবে কাজ করার জন্য বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে, তিনি এই গদি তাঁর সাথে বহন করে আসছিলেন।

সি ও তাঁর মা একসাথে না-থেকেও যেন একসাথেই ছিলেন। সেই কঠিন সময়কালে, দূরত্ব তাদের মা-ছেলের ভালোবাসার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।

ছি সিন সবসময় সি-কে চিঠি লিখতেন। সি-কে জীবনের প্রতি যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি, সবসময় নিজের প্রতি কঠোর হওয়ার কথাও মনে করিয়ে দিতেন মা। ছি সিন বিশেষ পারিবারিক সভাও করেছিলেন এবং সি যেখানে কাজ করতেন, সেখানে অন্যান্য সন্তানকে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে জড়িত না-হওয়ার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর সি রাজনৈতিক সাহস ও দৃঢ় দায়িত্ববোধের সাথে দুর্নীতিবিরোধী কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। একবার তিনি কঠোরভাবে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, ‘যদি আপনি একজন কর্মকর্তা হতে চান, ধনী হওয়া চলবে না; আর যদি আপনি ধনী হতে চান, তাহলে কর্মকর্তা হওয়া চলবে না।’

মায়ের ভালোবাসা, নীরব বসন্তের বৃষ্টির মতো, বিশেষ কোমলতা ও দৃঢ়তার সাথে সি’র আধ্যাত্মিক জগতকে পুষ্ট করেছে। ‘আমি নিজেকে ভুলে যাব ও জনগণের জন্য বেঁচে থাকব’—এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়নের জন্য জনগণকে নেতৃত্ব দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, ভালো মায়ের সন্তান সি চিন পিং।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের