
চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন এবং দুই দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধিতে ঢাকার জাতীয় গ্রন্থাগারে উদ্বোধন করা হলো চায়না বুক কর্ণার।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস এবং চীনের কমিউনিস্ট পার্টি পরিচালিত চায়না ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনস গ্রুপ যৌথভাবে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রোববার এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, "এই 'চায়না বুক কর্ণার' শুধু বইয়ের একটি সংগ্রহশালা নয়, এটি বাংলাদেশ ও চীনের জনগণের মধ্যে জ্ঞান, সংস্কৃতি ও বন্ধুত্বের একটি সেতু তৈরি করবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘চীন সাংস্কৃতিক আধিপত্যের পরিবর্তে বিভিন্ন সভ্যতার মধ্যে সংলাপের পক্ষে। এই সেন্টার বাংলাদেশের পাঠকদের ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক চীন সম্পর্কে একটি সামগ্রিক ধারণা দেবে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর হাতে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিংয়ের লেখা ‘দেশ প্রশাসন’ বইয়ের প্রথম খণ্ড তুলে দেন তু চান ইউয়ান। এরপর তারা গ্রন্থাগারে নতুন সংযোজিত চায়না বুক কর্নার ঘুরে দেখেন।
প্রাথমিকভাবে এই বুক কর্ণারে ১ হাজার বই যুক্ত করা হয়েছে। পরিবর্তে আরও বিভিন্ন বিষয়ের বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এই বুক কর্ণারে চীনা ট্রান্সলেটর ডিভাইসের মাধ্যমে চীনা ভাষা থেকে ইংরেজি কিংবা বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে বইগুলো পড়তে পারবেন পাঠকরা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চীনের স্টেট কাউন্সিল ইনফরমেশন অফিসের পরিচালক মো কাও ই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ইয়াং হুই এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। এছাড়াও, বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম