বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

বৃহস্পতিবার,

২৫ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

ব্যস্ততা বাড়লেও খুশি নন কুড়িগ্রামের প্রতিমা কারিগররা

আতাউর রহমান বিপ্লব, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:৫৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

Google News
ব্যস্ততা বাড়লেও খুশি নন কুড়িগ্রামের প্রতিমা কারিগররা

ছবি: রেডিও টুডে

শারদীয় দূর্গোৎসব বাঙালী হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রানের উৎসব। আর এই প্রাণের উৎসবের বড় একটি অংশ জুড়ে রয়েছে এই সম্প্রদায়ের প্রতিমা শিল্পীরা, যাদের প্রতিমা কারিগর কিংবা মালাকরও বলা হয়। কুড়িগ্রামে শারদীয় দূর্গোৎসবকে ঘিরে এসব প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা বাড়লেও প্রতিমার সঠিক দাম না পাওয়া আর করোনার প্রভাবে খুশি নন এই সম্প্রদায়ের কারিগররা।

সরেজমিন কুড়িগ্রাম জেলা শহরের বেশ কয়েকটি পাল পাড়া আর কুমোর পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, এবারের দূর্গোৎসবকে ঘিরে প্রতিমা কারিগররা পার করছেন ব্যস্ত সময়। একেকজন কারিগর ০৮-১২টি করে প্রতিমার অর্ডার নিয়েছেন। যা বিগত বছরগুলোতে ছিলো ১৫-২২টি করে। জেলার বাইরে থেকে প্রতিমার অর্ডার পেলেও গত বছর থেকে করোনার প্রভাবে সেটিও বন্ধ হয়ে গেছে। তবে লাভ কম হলেও উৎসব কমিটির পছন্দের চাহিদা মত তারা প্রতিমা গড়ছেন আপন হাতের ছোয়ায়। পাশাপাশি পুজোর মাটির সরঞ্জাম হাড়ি, কলস, ঘট, সরা, প্রদীপ, ধূপাতি ইত্যাদিও গড়ছেন কারিগররা।

জেলার কাঁঠালবাড়ি, দাশেরহাট, বৈদ্যের বাজার, ঘোগাদহ, পালপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরী হচ্ছে এসব মাটির সরঞ্জাম ও দূর্গা প্রতিমা।

কাঠালবাড়ির প্রতিমা কারিগর শ্রী কালিকান্ত পাল বলেন, “গতবছর করোনার কারনে জেলার বাইরের পুজোর প্রতিমার তেমন অর্ডার নিতে পারি নি। এবছরও আশানুরূপ প্রতিমার অর্ডার বেশি পাইনি, যা পেয়েছি সেগুলো তৈরী করতে রাত-দিন কাজ করতে হচ্ছে আমাদের।”

একই এলাকার আরেক প্রতিমা কারিগর শ্রী সুশিল পাল বলেন, “প্রতিমার সরঞ্জামের দাম গতবছরের চেয়ে এ বছর আরো বেড়েছে, সেই তুলনায় প্রতিমার দাম তেমন পাচ্ছি না আমরা।”

ঘোগাদহ ইউনিয়নের সোবনদহ এলাকায় প্রতিমা গড়ছেন মহিলা কারিগর কল্পনা রানী। তিনি জানালেন, বিয়ে হয়েছে ২৫ বছর হলো, বিয়ের পর থেকে স্বামীর গৃহে এসে তিনিও এই কাজ করছেন। গত ২৫ বছরের মতো কখনো দূর্গা প্রতিমার অর্ডার কম পাননি,কিন্তু করোনার এই সময়ে প্রতিমার অর্ডার তারাও কম পেয়েছেন। এবছর প্রতিটি প্রতিমা ১০ হাজার থেকে শুরু করে ১৮ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিমার লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, ময়ূর, পেঁচা সবকিছু তৈরী শেষ হয়েছে। তবে মূল প্রতিমা দেবী দূর্গার কাজ এখনো বাকি রয়েছে। এসব প্রতিমাগুলোতে এখনও মাটির প্রলেপ দেয়া হচ্ছে, রং তুলির আচর পরবে আগামী ৬ অক্টোবর মহালয়ার পর।

কুড়িগ্রামে এবার ৫১০ টি পুজো মন্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শারদীয় দূর্গোৎসব। ৫ দিনের এই আয়োজন শুরু হবে আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার থেকে।

রেডিওটুডে নিউজ/জেএফ

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের