ফাইল ছবি
রাতে মায়ের সঙ্গে একই কক্ষে ঘুম, সকালে বাড়ীর কাছে বাঁশঝাড়ের ড্রেনের মধ্যে মিলেছে যুবতীর হাতবাধা লাশ। মধ্যরাত থেকে নিখোজ ছিল সে। ধারনা করা হচ্ছে প্রেমের অভিসারে সাড়া দিয়ে ধর্ষন শেষে হত্যার শিকার হয়েছে সে।
হত্যার শিকার যুবতী আইরিন আক্তার আলো (২০) চিরিরবন্দরে রানীরবন্দরের নদী পাড়ের বাসিন্দা আলম হোসেন কসাইয়ের মেয়ে।
পরিবারের স্বজনরা জানান, রবিবার রাতে মায়ের সাথে একই কক্ষে ঘুমিয়ে ছিল আইরিন আক্তার আলো। মধ্যরাত থেকে কক্ষ ছিলনা সে। এসময় তার মোবাইল নম্বরে কোল দিয়ে বন্ধের সংকেত পান তারা। রাত আড়াইটা থেকে সম্ভাব্য সব স্হানে খোজ নেন তারা। সকালে বান্ধীদের সাথে যোগাযোগের সময় অভিভাবকের মোবাইলে খবর আসে বাড়ীর পাশে পাকা ড্রেনে আইরিনের লাশের খবর।
চিরিরবন্দর থানার উপ পরিদর্শক নুর আলম বাবু জানান, চিরিরবন্দরের ১নং নশরতপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব পার্শ্বে ওয়েসিস স্কুলের পিছনে ড্রেনের মধ্যে হাত বাধা অবস্হায় মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন তারা। লাশ পড়ে ছিল বাড়ী হতে প্রায় ১শত গজ পূর্বে বাঁশ ঝাড়ের নীচে ড্রেনের মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় লাশের পাশে বাঁশঝাড়ে আইরিন আক্তার আলোর ব্যবহৃত সেন্ডেল পড়েছিল।
সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে ময়না তদন্তে লাশ আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেছেন তারা।
ধারনা করা কারো সাথে প্রেমের সম্পর্কের কারনে সাড়া দিয়ে ঘর ছেড়ে সাক্ষাতে গিয়ে ধর্ষন শেষে হত্যার শিকার সে।
চিরিরবন্দর থানার ইনচার্জ বজলুর রশিদ জানান, সম্ভাব্য কারন আমলে নিয়ে হত্যার কারন এবং হত্যায় জড়িতকে চিহ্নিত করতে তদন্ত শুরু করেছেন তারা। দ্রুতই অপরাধি ধরা পড়বে বলে আশা করছেন তারা।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি
