ছবি রেডিওটুডে
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের ব্লক রেইড অব্যাহত রয়েছে। ভোররাতে অভিযান চালিয়ে ১৫ নম্বর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গা থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার কথিত কমান্ডার সেলিম প্রকাশ মাস্টার সেলিম সহ ৮ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আর্মাড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন এর সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় তৈরী অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকালে ৮ এপিবিএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো: কামরান হোসেনের দেয়া এক প্রেস রিলিজে জানানো হয়, সোমবার রাতে উখিয়া উপজেলার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতির খবর পেয়ে ৮ আর্মাড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন এর একটি টিম ক্যাম্পে ব্লক রেইডের সিদ্ধান্ত নেয়। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে জামতলী এপিবিএন ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা সন্ধ্যা থেকে ভোর রাতে ক্যাম্পের ব্লক-ডি/১৩ এর উল্লিখিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে পুলিশ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী এনায়েত উল্লাহ, আব্দুল আমিন, নূর মোহাম্মদ, মোঃ রফিক ও মোঃ আরিফ উল্লাহ, ফিরোজ মিয়া, ছলিমকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের কেউ কেউ চিন্থিত রোহিঙ্গা আরসার সদস্য এবং মাদক কারবারি। গ্রেফতার রোহিঙ্গা এই সন্ত্রাসীদের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে এপিবিএন পুলিশ।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজ অফিসে খুন হন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শীর্ষ নেতা মুহিব্বুল্লাহ। ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে মুহিব্বুল্লাহর ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে উখিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মুহিব্বুল্লাহকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ কথিত আরসার সদস্যরা খুন করেছে বলে সাধারণ রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেছেন। এরপর থেকেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন ও থানা পুলিশ নিয়মিত ব্লক রেইড দিয়ে আসছে। মুহিব্বুল্লাহ হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ইলিয়াস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত কথিত আরসা সদস্য সহ ৩০ জনেরও বেশী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রেডিওটুডে নিউজ/এইচবি
