রাজধানীর কাজীপাড়া এলাকায় জুলাই আন্দোলনের সময় গুলিতে আহত বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার খলিল খান (৩৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বুধবার (১৫ মে) বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় নিউরোসাইন্স ইনস্টিটিউট হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয় বলে পরিবার জানায়।
নিহত খলিল বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের ঘটকেরচর গ্রামের মৃত কাশেম খানের ছেলে। পেশায় তিনি ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। খেলিলের মৃত্যুর পর তাঁর লাশ বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ঘটকেরচর এনে জানাযা শেষে সকালে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
খলিলের স্ত্রী নার্গিস বেগম জানান, স্বামি-স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে তারা পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকতেন। তাঁর স্বামী ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন আর তিনি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। গত বছরের ২০ জুলাই ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর সময় কাজীপাড়ায় পুলিশের গুলিতে তাঁর স্বামী গুরুতর আহত হন। তাঁর পায়ে দুটি গুলি লাগে। ভয়ভীতির কারণে ঐ সময় গোপনে চিকিৎসা করানো হয় তাকে।
নার্গিস বেগম আরও জানান, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা একটি গুলি অপসারণ করতে পারলেও আরেকটি রয়ে যায়। গত ১০ মে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জাতীয় নিউরোসাইন্স ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়, সেখানেই মারা যান তিনি।
এ বিষয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে তিনি খলিল খানের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন। ইউএনও জানান, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বাবুগঞ্জের ২১ জন আহত হন, যাদের ‘সি ক্যাটাগরি’তে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ১৩ মে প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়েছে। খলিল খান অসুস্থ থাকায় তার স্ত্রী নার্গিস বেগমের হাতে ঐ চেক হস্তান্তর করা হয়।

