টাঙ্গাইলের গোপালপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে মারধর করা হয়। ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আমজাদ হোসেনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, কাজ না দেওয়ার অভিযোগ তুলে একদল ব্যক্তি ‘আওয়ামী ট্যাগ’ দিয়ে অফিসে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী লিয়াকত বলেন, “নির্বাচন কর্মকর্তা নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে আমরা অফিসে গেলে তিনি দুর্ব্যবহার করেন এবং আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই চলে যান। তখন অফিসে থাকা ব্যক্তিদের ভিডিও করতে বলেন। এতে উপস্থিতরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শুধু অনিয়মের বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম, কোনো ভাঙচুরের ঘটনা ঘটাইনি।”
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, “সরকারি অফিসে হামলা ও কর্মকর্তার গায়ে হাত তোলা গুরুতর অপরাধ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।”
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সরকারি অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। যদি নির্বাচন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকত, তা লিখিতভাবে দেওয়া যেত। নির্বাচন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

