পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে আমদানির সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের

রোববার,

০৯ নভেম্বর ২০২৫,

২৪ কার্তিক ১৪৩২

রোববার,

০৯ নভেম্বর ২০২৫,

২৪ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে আমদানির সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ৮ নভেম্বর ২০২৫

Google News
পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে আমদানির সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে আমদানির অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিটিটিসি। স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১১০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ায় দ্রুত আমদানির অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি)। সাধারণত প্রতি বছর অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর মাসেই পেঁয়াজের দাম বাড়ে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যসচিব ও কৃষিসচিবকে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান 'প্রথম আলো'কে জানিয়েছেন, কিছু মধ্যস্বত্বভোগী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। এই সময়ে পেঁয়াজের দাম সর্বোচ্চ ৯০ টাকার মধ্যে থাকার কথা থাকলেও তা বেড়ে ১১৫ টাকার ওপরে চলে গেছে। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশে দাম প্রায় ৩০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তাই কমিশনের পক্ষ থেকে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানির জন্য দ্রুত অনুমতি দিতে সুপারিশ করা হয়েছে।

ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, পেঁয়াজের এই উচ্চ দামের সুবিধা কৃষকরা পাচ্ছেন না; লাভবান হচ্ছে মূলত মধ্যস্বত্বভোগীরা। পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ দিলে বাজারে তাদের প্রভাব কমবে এবং ভোক্তারা যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পেঁয়াজ আমদানির প্রধান উৎস দেশ হলো ভারত, যা মোট আমদানির প্রায় ৯৯ শতাংশ। এছাড়া তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন ও মিসর থেকেও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। গত অর্থবছরে দেশে মোট ৪ লাখ ৮৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। বর্তমানে পেঁয়াজের ওপর মোট ১০ শতাংশ শুল্ককর প্রযোজ্য রয়েছে।

যদিও গত অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছিল, তবে সংরক্ষণ সমস্যাসহ নানা কারণে তা নষ্ট হওয়ায় বাজারে আসে প্রায় ৩৩ লাখ টন পেঁয়াজ।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের