দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পঞ্চম তলার শিশু ওয়ার্ডে সম্প্রতি এক নবজাতক শিশুকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শিশুটির পাশে পাওয়া যায় একটি চিরকুট, যাতে লেখা ছিলো—‘পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম।’
ঘটনাটি দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় জানার পরপরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শে গঠিত নিপীড়িত নারী ও শিশু আইনি এবং স্বাস্থ্য সহায়তা সেলের সদস্যরা শিশুটিকে দেখতে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান এবং শিশুটির চিকিৎসাসংক্রান্ত যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
এ সময় সহায়তা সেলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী ও বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম ভার্চুয়ালি দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শেখ সাদেক আলী এবং হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফজলুল রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি নবজাতকের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে সকলকে ধন্যবাদ জানান।
বিএনপির নিপীড়িত নারী ও শিশু সহায়তা সেলের পক্ষ থেকে শিশুটির জন্য প্রয়োজনীয় শিশু সুরক্ষা সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহায়তা সেলের সদস্য ডা. মো. জিয়াউল হক, ডা. মাসতুরা বেগম, ডা. নূর জামান সরকার, ডা. তামান্না নুসরাতসহ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
দেশব্যাপী নারী ও শিশু নিপীড়নের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে গত মার্চে বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম ও আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে যথাক্রমে স্বাস্থ্য ও আইনি সহায়তা সেলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী করে নিপীড়িত নারী ও শিশু সহায়তা সেল গঠন করা হয়। এই সেল গঠনের পর থেকেই দেশব্যাপী বিভিন্ন নারী ও শিশু নিপীড়নের ঘটনায় দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

