ফরিদপুরে জিলা স্কুল মাঠে সঙ্গীতশিল্পী জেমসের একটি কনসার্ট বাতিলের পর জেলা প্রশাসন বলছে, স্কুল শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের মধ্যে মারামারি হওয়ায় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কনসার্টটি বাতিল করা হয়েছে।
“জিলা স্কুলের নিজস্ব প্রোগ্রাম। সেখানে জায়গা ছোটো। আবার বাইরে বহু লোকের ভিড় হয়ে গিয়েছিলো। তারা ভেতরে ঢুকতে না পেরে ইট পাটকেল মেরেছে। এ নিয়ে হালকা মারামারি হওয়া সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কনসার্টটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছি,” বিবিসি বাংলাকে বলেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান মোল্যা।
বৃহস্পতিবার জিলা স্কুলের ১৮৫তম বর্ষিকী উদ্যাপন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছিল বনাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরাসহ বর্তমান শিক্ষক শিক্ষার্থীরাই এ অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছিলেন।
শুক্রবার রাতে দুদিনের এ আয়োজনের শেষ পর্যায়ে জেমসের কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে সেটি বাতিল হওয়া ঢাকায় ফিরে যান জেমস।
কিন্তু এর মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে সংঘর্ষ ও জেমসের কনসার্ট বাতিল নিয়ে নানা ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ প্রচার করেন কথিত ‘তৌহিদী জনতা’র হামলায় কনসার্ট বাতিল হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলছেন, বহিরাগত ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্য মারামারি ছাড়া অন্য আর কোনো বিষয় এর সঙ্গে জড়িত নয়।
“এর আগের দিন ওয়ারফেইজ নামে আরেকটি ব্যান্ড দল ছিল। তখন কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু শুক্রবার রাতে বাইরের লোক বেশি জমায়েত হওয়ায় সমস্যা হয়েছে,” বলেছেন তিনি।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিবিসির সাংবাদিক সায়েদুল ইসলাম। তিনি বলছেন, শুক্রবার রাত নয়টার দিকে র্যাফল ড্র হচ্ছিলো এবং সেটি শেষেই জেমসের কনসার্ট হওয়ার কথা ছিল।
“অনুষ্ঠানে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়া বাইরের কারও ঢোকার সুযোগ ছিল না। কিন্তু জেএমসের কনসার্টের কথা শুনে আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ এসে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করেছে। পুলিশ বাধা দিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে বাইরের লোকজনের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে আয়োজকরা কনসার্টটি বাতিল করে দেয়,” ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলছিলেন তিনি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

