শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

খুলনায় অর্থের বিনিময়ে মুহুর্তেই মিলছে চিকিৎসক হওয়ার ডিপ্লোমা সনদ!

শুভ্র শচীন, খুলনা

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ০৭:৩৫, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

Google News
খুলনায় অর্থের বিনিময়ে মুহুর্তেই মিলছে চিকিৎসক হওয়ার ডিপ্লোমা সনদ!

খুলনার ফুলতলায় একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসক হওয়ার ডিপ্লোমা সনদ বিক্রি করছে, যার নেপথ্যে রয়েছে ইকবাল নামে এক স্কুল শিক্ষক।

ভুক্তভোগীদের তথ্যমতে, উপজেলা সদরের জামিরা রোডে ফুলতলা-প্যারামেডিকেল এ্যান্ড টেকনোলজি ফাউন্ডেশন (পিটিএফ) ডাক্তার ও নার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অন্তরালে চলছে এ সনদ বাণিজ্য। ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি, ডিপ্লোমা ইন ক্লিনিক্যাল নার্স, ডিপ্লোমা মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট সহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সনদ মুহুর্তের মধ্যে ক্লাস ও পরীক্ষা না দিয়ে মোটা অংকের অর্থ দিলেই তা মিলবে।

যদিও তাদের বিভিন্ন প্রচারপত্র বা লিফলেটে কোর্সগুলো ৩ বছরের কথা উল্লেখ রয়েছে। তারপরেও এই পিটিএফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শাখা পরিচালক ইকবালকে টাকা দিলে সনদ যোগাড় করে দেন তিনি। এ যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ। ৩ বছরের কোর্সে পরীক্ষা ও ক্লাস করার প্রয়োজন নেই। শুধু মোটা অংকের অর্থের প্রয়োজন। তাতেই মিলবে ডিপ্লোমা ১০ সনদ।

সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলা সদরের করিমুননেছা স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইকবাল মোল্যা। দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষকতা পেশায় রয়েছেন। তবে হঠ্যাৎ শিক্ষকতা পেশার পাশাপাশি নতুন এক অভিনব ব্যবসায় নাম লিখিয়েছেন। খুলেছেন ডাক্তার ও নার্স প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। স্কুলটির সামনেই বড় সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি চালিয়ে আসছেন তিনি।

যেখানে ভূমি জরিপ, ডেন্টাল, প্যারামেডিকাল নার্স, পল্লী চিকিৎসক সহ অন্যান্য ১০টি কোর্স চালু রয়েছে। তবে শর্টকাটে কোটিপতি বনে যাওয়ার জন্য ইকবাল মোল্যা কোন প্রকার প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা ছাড়াই সনদ দিয়ে যাচ্ছেন গোপনে।
স্থানীয় ইনসাফ আহমেদ নামে এক ব্যক্তি ইকবাল মোল্যার কাছে পরীক্ষা ও ক্লাস ছাড়াই সনদ আনতে গেলে বেরিয়ে পড়ে এ চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২২ হাজার টাকা দিলেই ৫/৬ দিনের মধ্যে ডিপ্লোমা মেডিকেল এ্যাসিসট্যান্ট (ডিএমএ) সনদ দিতে রাজি হন শাখা পরিচালক ইকবাল। শুধু চিকিৎসক হওয়ার সনদ নয়, ঔষধ বিক্রির লাইসেন্সও স্বল্পমূল্যে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। 

এ ব্যাপারে ইকবাল মোল্যা এসব অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, আমি ক্লাস ও পরীক্ষা ছাড়া মাত্র ৪ জনকে সনদ দিয়েছি।

খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ড. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। এটা কিভাবে সম্ভব? খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রেডিওটুডে নিউজ/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের