
ছোলার দামে সুবাতাস
রোজার বাকি হাতেগোনা কয়েকদিন। প্রতিবারই রোজা আসলে দেখা যায় এই মাসের বিশেষ চাহিদা রয়েছে এমন কিছু পণ্যের দাম বাড়তে থাকে। সাধারণত রমজান মাসে খেজুর,চিনি,তেল,ছোলা ও পেঁয়াজ এই ৫ টি পণ্যের চাহিদা রয়েছে। বাকি ১১ মাসে যে চাহিদা রয়েছে তার প্রায় কয়েকগুন বেশি চাহিদা রমজান মাসে। রাজধানীর একাধিক পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এসব পণ্য নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন,পাইকারি ব্যবসায়ীরা তাদের প্রয়োজন মোতাবেক পণ্য দিচ্ছেন না। অন্যদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, এলসি খুলতে না পারার জন্য এই অবস্থা।
তবে অন্য পণ্যগুলোর দাম বাড়লেও ছোলার দাম গত ৩ থেকে ৪ দিনে ধস নেমেছে। রোজার আগেই দাম কমতে শুরু করেছে ছোলার। মৌলভিবাজার পাইকারি বাজারে গতকাল সোমবার ছোলা বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৬৯ টাকা থেকে ৮০ টাকা। বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের অস্ট্রেলিয়ার ছোলা বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। ১৫ দিন আগেও এই ছোলা বিক্রি হয়েছে কেজিতে ৯০ টাকায়। আরিফ ট্রেডার্সের মালিক কালাম মহাজন বলেন, এলসি জটিলতায় ছোলা আনতে সুযোগ পাচ্ছিল কেবল বড় শিল্প গ্রুপ বা ব্যাংকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরাই। সেই ধারণা পাল্টে এখন একসঙ্গে এত ছোলা আসায় বাজার পড়ে গেছে। ফলে প্রথমে যাঁরা বিক্রি করেছিলেন তাঁরা দাম পেয়েছেন, এখন উল্টো লস হচ্ছে। তবে আগে ছোলা কিনে রাখায় খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েনি এখনো। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ছোলা। রাজধানীর বনশ্রীর ১৬ নম্বর রোডের সতেজ বাজারের দোকানদার বিল্লাল হোসেন বলেন,"আমি আগে কিনেছিলাম ৮৯ টাকা করে। এখন নাকি ৭৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর পরও আমি ৯০ টাকায় বিক্রি করছি। নতুন দামে ছোলা আনলে কম দামে বিক্রি করতে পারব"।
কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, "গত বছরের তুলনায় এবার সব ধরণের পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গেলো দুইদিন ছোলার দাম কমার ব্যাপারে তিনি বলেন,"এইভাবে প্রতিটা পণ্যের রোজার আগে দাম কমা উচিত"।
রেডিওটুডে/এমএমএইচ