চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবির, ছাত্রদল ও বাম ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি অবস্থান ও স্লোগান দিতে দেখা গেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও আশপাশে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
সন্ধ্যার দিকে ভবনের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা। অপরদিকে প্রশাসনিক ভবনের দুই পাশে অবস্থান করেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুই পক্ষের মাঝখানে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা দপ্তরের সদস্যরা।
এ সময় ছাত্রশিবিরের মিছিল থেকে ‘চাঁদা চাঁদা করিস না, পিঠের চামড়া থাকবে না’, ‘ভিক্ষা লাগলে ভিক্ষা কর, চাঁদাবাজি ছাড় দে’, ‘লন্ডনে কামলা, দেশে চাঁদাবাজি সামলা’ এবং ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’—এমন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
অন্যদিকে ছাত্রদল ও বাম ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘বাঁচতে হলে, লড়তে হলে—এই লড়াইয়ে জিততে হবে’, ‘তোমার দেশ, আমার দেশ—বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘রাজাকারের চামড়া তুলে নেব আমরা’ এবং ‘রাজাকার ও পাকিস্তানের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’—সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখার আহ্বান জানান চাকসুর সহ-সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক ভবনে তালা দেওয়ার যে সংস্কৃতি আগে ছিল, তা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তালার কারণে সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। যাদের কোনো দাবি বা সমস্যা আছে, তারা আমাদের জানালে আমরা সেগুলো প্রশাসনের কাছে তুলে ধরব।’ পরে তিনি দ্রুত তালা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক)-এর বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে এর আগে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’-এর ব্যানারে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীরসহ কয়েকটি বাম ছাত্রসংগঠন। তালা দেওয়ার ঘটনাকে ঘিরেই সন্ধ্যায় প্রশাসনিক ভবন এলাকায় বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের পাল্টাপাল্টি অবস্থান দেখা যায়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

