শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

`পপগুরু` চলে যাওয়ার এক যুগ আজ

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৫৬, ৫ জুন ২০২৩

Google News
`পপগুরু` চলে যাওয়ার এক যুগ আজ

আজম খান

ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজম খান-এর ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১১ সালের এই দিনে ‘পপগুরু’ খ্যাত এই সংগীত ব্যক্তিত্ব মৃত্যবরণ করেন। প্রতি বছর এই দিনে আজম খানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে তার পরিবার, বন্ধু-স্বজন, শুভাকাঙক্ষী, ভক্তরা সবাই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পোস্টে আজম খানকে ঘিরে অনেকে স্মৃতিচারণা করেন।

দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে বাংলা ব্যান্ড সংগীতকে নিয়ে গেছেন আজম খান। আবার একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নিয়ে এদেশের মানুষের হৃদয়েও জায়গা করে নিয়েছিলেন।

১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আজিমপুর কলোনির ১০নং সরকারি কোয়ার্টারে 'পপগুরু’, ‘পপ সম্রাট’ উপাধি খ্যাত আজম খান জন্মগ্রহণ করেন। ষাটের দশকের শেষের দিকে সংগীত জগতে পা রাখেন তিনি। 

১৯৭২ সালে আজম খান বন্ধুদের নিয়ে ‘উচ্চারণ’ নামে ব্যান্ড দল গড়ে তোলেন তিনি।দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে তার ব্যান্ডটি। তার এই ব্যান্ডের কল্যাণেই পপ সংগীত পৌঁছে যায় দেশের সব জায়গায়। ওই বছরই তার ‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ আর ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ দুটি গান বিটিভিতে প্রচার হওয়ায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়। এরপর বিটিভিতে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ গান গেয়ে হইচই ফেলে দেন আজম খান।

আজম খানের গাওয়া জনপ্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘আমি যারে চাইরে’, ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’, ‘ওরে সালেকা ওরে মালেকা’, ‘আলাল ও দুলাল’, ‘অ্যাকসিডেন্ট’, ‘অনামিকা’, ‘অভিমানী’, ‘আসি আসি বলে’, ‘হাইকোর্টের মাজারে’, ‘পাপড়ি’, ‘বাধা দিও না’, ‘যে মেয়ে চোখে দেখে না’ ইত্যাদি।

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের ৫ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই পপসম্রাট। তবে লাখো ভক্তের হৃদয়ে বেঁচে আছেন তিনি এখনো সমানভাবে আগের মতোই।

রেডিওটুডে নিউজ/এসবি

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের