শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১২ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

আগুনে দগ্ধ `শারমিন আঁখি` অবশেষে বাড়ি ফিরলেন

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৩৫, ২৮ মার্চ ২০২৩

Google News
আগুনে দগ্ধ `শারমিন আঁখি` অবশেষে বাড়ি ফিরলেন

শারমিন আঁখি

চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর মিরপুরে একটি শুটিং হাউজের বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছিলেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। সেই ঘটনায় শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল তার। এরপর দীর্ঘ দুই মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়েন তিনি। ছিলেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে। দুই মাস পর হাসপাতাল থেকে আজ বাসায় ফিরলেন শারমিন আঁখি।

তবে বাসায় ফেরার আগে আজ মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভয়াবহ সেই দিনটির স্মৃতিচারণ করেন এই অভিনেত্রী।

শারমিন আঁখি বলেন, "সেদিনের বিভীষিকা এখনো আমার চোখের সামনে ভাসে। সেদিন আমি মিরপুরে শুটিং হাউজের ওয়াশরুমে যাই। সেখানে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে স্পার্ক হচ্ছে মনে হলো। এরপর হঠাৎ বিকট শব্দ। ওই সময় বাথরুমের দরজা ভেঙে উড়ে যায়। আমার শরীর অর্ধেক বাথরুমের ভেতর ছিল, আর অর্ধেক বাইরে। মুহূর্তেই শরীর দগ্ধ হয়ে যায়।"

নিজের জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তের বর্ণনা এভাবেই দিচ্ছিলেন এই অভিনেত্রী। 

তিনি বলেন, "বিস্ফোরণের পর শুটিং ইউনিটের গাড়ি দিয়ে আমাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। আপনারা জানেন, গত জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঠিক আজকে সেই ২৮ তারিখে আমি আবার বাসায় ফিরে যাচ্ছি।"

ডাক্তারদের সঙ্গে শারমিন আঁখি

শারমিন আঁখি চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, "যারা আমাকে দীর্ঘদিন সেবা করে আজকে বাড়ি ফেরার সুযোগ করে দিয়েছেন, আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি যখন আইসিইউতে ছিলাম তখন থেকেই মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ প্রচারের খবর পাই। যেগুলো আমার জন্য খুবই বেদনাদায়ক ছিল। আর এজন্য আজ আমি আমার এই পোড়া শরীর নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। অনেকে বলছেন, আমি স্মোকিং করতে যেয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সেদিন এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই ঘটনা ঘটার পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই শুটিংহাউজ আমার কোনো খোঁজ নেয়নি। সব সময় আমার পাশে ছিলেন আমার স্বামী রাহাত।"

শারমিন আঁখি

বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "শারমিন আঁখির শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আর ৩৫ শতাংশ দগ্ধ যে কোনো মানুষের জন্য আশঙ্কাজনক। ১৫ শতাংশ দগ্ধ হলে তাকে আমরা শঙ্কামুক্ত বলতে পারি না, সেখানে তিনি তো ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। আমাদের তত্ত্বাবধানে দুই মাস তার চিকিৎসা শেষে আজ তাকে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিচ্ছি।"

উল্লেখ্য, গত ২৮ জানুয়ারি মিরপুরের একটি শ্যুটিং হাউজে দগ্ধ হন এই অভিনেত্রী। এরপর থেকে তিনি হাসপাতালে থেকেই চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।

রেডিওটুডে নিউজ/এসবি

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের