
বিশ্ব সংগীত জগতের জনপ্রিয় মার্কিন পপ তারকা কনি ফ্রান্সিস আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। জনপ্রিয় গান ‘প্রিটি লিটল বেবি’-র জন্য বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই কিংবদন্তি শিল্পী মারা যান।
কনি ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবরটি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু রন রবার্টস নিশ্চিত করেছেন। এক পোস্টে তিনি লেখেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে এবং ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমি আপনাদের জানাচ্ছি যে গত রাতে আমার প্রিয় বন্ধু কনি ফ্রান্সিসের মৃত্যু হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জুলাই মাসের শুরুতে তীব্র পেটে ব্যথা নিয়ে কনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেই সময় থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে গত ৪ জুলাই ফেসবুকে শেষ পোস্ট করেছিলেন কনি। লিখেছিলেন, আজ অনেকটা ভালো লাগছে। সবাইকে ৪ জুলাইয়ের শুভেচ্ছা। কিন্তু এরপর আর সুস্থ হয়ে ওঠা হলো না তার।
‘স্টুপিড কিউপিড’, ‘হু’স সরি নাউ’, ‘প্রিটি লিটল বেবি’- এই গানগুলোর মাধ্যমে কোটি ভক্তের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন কনি। ৬৩ বছর আগে ‘প্রিটি লিটল বেবি’ গানটি রেকর্ড করা হলেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবার ভাইরাল হয়ে যায়। ফলে আবার আলোচনায় আসেন কনি।
১৯৩৭ সালে নিউ জার্সির নিউইয়র্ক শহরে জন্মগ্রহণ করেন কনি। তার আসল নাম ছিল কনচেটা ফ্রানকোনেরো। মাত্র ৪ বছর বয়স থেকেই গান গাইতেন ও অ্যাকর্ডিয়ন বাজাতেন। ছোটবেলাতেই যুক্ত হন টেলিভিশনের গানের অনুষ্ঠানে।
উল্লেখ্য, সংগীতজীবনে সফল হলেও ব্যক্তিজীবনে কনি ফ্রান্সিসের জীবন ছিল কঠিন। চারবার বিয়ে করেও সুখী হতে পারেননি। ভালোবেসেছিলেন গায়ক ববি ড্যারিনকে, কিন্তু বাবার আপত্তির কারণে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। এ নিয়ে প্রায় সারাটা জীবনই কষ্টে কাটিয়েছেন তিনি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম