তরুণ-তরুণী প্রেমে পড়তেই পারেন। এটা চিরন্তন। এজন্য কোনো শর্ত লাগে না। কোনো চুক্তি কাজ করে না। কিন্তু এমনও একটা সময় ছিল যখন এই বিশ্বের এক কোণায় ছেলেটিকে মন পেতে হলে মেয়েটির বগলের ঘামে ভেজা আপেলের টুকরো মুখে পুরে চিবোতে হতো। সেই আপেল খেতে পারলে তবেই ওই তরুণীকে তিনি প্রেমিকা হিসেবে অর্জন করতে পারতেন।
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। উনবিংশ শতাব্দীতে অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন গ্রামে এই প্রথার প্রচলন ছিল। গ্রামগুলিতে তরুণ ও তরুণীদের এক জায়গায় করে একটি নাচের আয়োজন করা হতো। সেখানে নাচ শুরু হতো। নাচতেন তরুণীরা। তবে সঙ্গে থাকত আপেলের টুকরো। একটা আপেলের টুকরো নিয়ে তাদের বগলের তলায় রেখে দিতেন। তারপর নাচতে শুরু করতেন।
যে বাজনার সঙ্গে নাচটা চলতো তা হঠাৎ করে বন্ধ করে দেওয়া হতো। নিয়ম ছিল বাজনা বন্ধ হলে নাচ থামিয়ে সেখানে হাজির তরুণদের মধ্যে থেকে এক তরুণকে বেছে নিতেন এক তরুণী।
তরুণী কোনো তরুণকে পছন্দ করলে এবং ওই তরুণেরও ওই তরুণীকে পছন্দ হলেই কিন্তু প্রেমপর্ব শুরু করা যেত না। যদি দুই জনেরই দুই জনকে ভালো লাগে তখন ওই তরুণী নাচের পর ঘামে ভেজা বগল থেকে ওই আপেলের টুকরো বার করে ছেলেটিকে খেতে দিতেন।
যদি তিনি ওই ঘামে ভেজা আপেলের টুকরো খেতে পারতেন তবেই তারা প্রেম করার অধিকার পেতেন ওই গ্রামে, ওই সমাজে। এ রীতি বহুদিন পর্যন্ত অস্ট্রিয়ার বিভিন্ন গ্রামে প্রচলিত ছিল।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম