
রাসায়নিক যুক্ত ফল শরীরের জন্য ক্ষতিকর
ফলন ভালো করার জন্য চাষের কাজে ব্যবহার করা হয় নানা ধরনের রাসায়নিক। ফলে এখন শুধু ফলনের কাজেই সীমাবদ্ধ নয় বরং কাঁচা ফল সময়ের আগে পাকানোর কাজে এবং ফলের স্বাদ বাড়িয়ে তুলতেও নানা রাসায়নিক ব্যবহৃত হচ্ছে। যার ফলে এই সব রাসায়নিক যুক্ত ফল খাওয়ার পর মানুষ মারাত্মক রোগের সম্মুখীন হচ্ছে।
তবে বহু ব্যবসায়ী কম সময়ে লাভের পরিমান বেশি করার জন্য ফল পাকাতে ইথিলিন-সহ নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহার করে থাকে। এতে ফল তাড়াতাড়ি পাকে ঠিকই, কিন্তু প্রাকৃতিক গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায় ফলের। এটা স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। হতে পারে নানা বিপজ্জনক রোগ। এমনটা জানিয়ে চিকিৎসকরা আশংকা প্রকাশ করেছেন।
চিকিৎসকরা জানান, ফল এবং সবজিতে যে রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে, তা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ইথিলিন গ্যাস-সহ নানা ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ফল পাকাতে।
আসলে রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে ফল এবং সবজি বিষাক্ত হয়ে যায়। রাসায়নিক মেশানো ফল এবং শাকসবজি খাওয়ার ফলে পেট খারাপের মতো সমস্যাও দেখা যায়। শুধু তাই নয়, পেটের নানা রোগ পর্যন্ত হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
এছাড়াও মাথা ঘোরানো, মাথা ব্যথা, মানসিক অবস্থার ব্যাঘাত, মানসিক বিভ্রান্তি, কিডনি, লিভার এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের পরিমান বহুগুনে বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে মানবদেহের জন্য চরম ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো ফল।
কোনও ব্যক্তি যদি ক্রমাগত রাসায়নিক সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করেন, তবে তার দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব আমাদের শরীরের উপর পড়ে। এছাড়া ক্যানসারের মতো মারণ ব্যাধির সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
তবে এই সমস্যা এড়ানোর জন্য অন্যতম ভাল উপায় হল জৈব খাবার খাওয়া।
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকের মতামত হলো, ফলের বাজার থেকে ফল কেনার পর রাসায়নিক দূর করার জন্য ফলগুলো গরম পানিতে আধা ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। আধা ঘণ্টা পর আবার পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে খেতে হবে। এর ফলে রাসায়নিকের পরিমাণ অনেকটাই কমানো সম্ভব। এই নিয়ম মেনে ফল অথবা সবজি খেলে বিপজ্জনক রোগের ঝুঁকিও অনেকটাই কমানো যাবে।
এস আর