
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে রাশিয়াকে 'অশুভ শক্তি' আখ্যা দিয়ে দেশটির আগ্রাসন বন্ধে বিশ্বের দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে রাশিয়া বিশ্বকে চূড়ান্ত যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন জেলেনস্কি। তিনি অভিযোগ করেন, খাদ্য থেকে শুরু করে জ্বালানি-সব কিছুকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে মস্কো। রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র রাখার কোন অধিকার নেই উল্লেখ করে যুদ্ধ ইস্যুতে ভারত-ব্রাজিলের মতো দেশগুলোর গা বাঁচিয়ে চলার প্রবণতার নিন্দা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
জাতিসংঘের বার্ষিক সাধারণ পরিষদে যোগদানকারী বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, ‘রাশিয়া যখন বিশ্বকে চূড়ান্ত যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে, ইউক্রেন তখন এটাই নিশ্চিত করার জন্য সবকিছু করছে যে, রাশিয়ার আগ্রাসনের পর বিশ্বের কেউ অন্য কোনও দেশকে আক্রমণ করার সাহস করবে না।’
ইউক্রেনীয় শিশুদের অপহরণ করে মস্কো ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র রাখার অধিকার নেই। অস্ত্রীকরণ অবশ্যই রোধ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধের অবশ্যই শাস্তি হতে হবে। নির্বাসিত ব্যক্তিদের অবশ্যই দেশে ফিরে আসতে হবে এবং দখলদারকে অবশ্যই তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে আসতে হবে। আর আমাদের এ জন্য অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
এদিন ভাষণে ২০১৮ সালের পরমাণু চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। নিন্দা জানান উপসাগরীয় দেশগুলোতে মার্কিন সেনাসহ বিভিন্ন বিদেশি সামরিক উপস্থিতির।
হাতে কোরআন নিয়ে সুইডেনসহ বিভিন্ন দেশে ধর্মগ্রন্থের অবমাননার তীব্র প্রতিবাদ জানান ইরানি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, এ বিষয়টিতে জাতিসংঘের আরও সোচ্চার ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।
এদিন ভাষণে নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চল ঘিরে আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উদাসীন থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। সূত্র: বিবিসি
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম