গাজায় দ্রুত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠনের আশা রুবিওর

শনিবার,

২৫ অক্টোবর ২০২৫,

৯ কার্তিক ১৪৩২

শনিবার,

২৫ অক্টোবর ২০২৫,

৯ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

গাজায় দ্রুত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠনের আশা রুবিওর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:০১, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

Google News
গাজায় দ্রুত আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠনের আশা রুবিওর

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গাজায় যুদ্ধবিরতি তদারকির জন্য দ্রুত একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠনের আশা প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ইসরাইল চাইলে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর বিষয়ে ভেটো দেওয়ার সুযোগ পাবে।

ইসরাইলের কিরিয়াত গাঁট থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সফরের পর আজ ইসরাইল সফরে গেছেন রুবিও। গাজায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখা এবং ইসরাইলের নতুন কোনো বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপ প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ সফরে যান রুবিও।

ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি বিশাল কনভার্টেড ওয়্যারহাউসে অবস্থানরত ইসরাইলি, মার্কিন এবং অন্যান্য পশ্চিমা বাহিনীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে রুবিও দুই বছরব্যাপী গাজা যুদ্ধের স্থায়ী অবসানের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সম্পন্ন হওয়া এই চুক্তি অনুযায়ী, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গাজায় প্রবেশ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করবে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজার বেশিরভাগ অঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

রুবিও বলেন, যত দ্রুত সম্ভব স্থিতিশীলতা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েনের অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এখন সবচেয়ে জরুরি।

বাহিনীর গঠন বিষয়ে ইসরাইলের ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। অনেক দেশ অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে, বাহিনী গঠনকালে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, অংশগ্রহণকারী দেশগুলো ইসরাইলের কাছে গ্রহণযোগ্য।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনীতে তুরস্কের অংশগ্রহণে আপত্তি জানিয়েছে।

ন্যাটো সদস্যদেশ তুরস্কই ছিল প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যারা ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। তবে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের নেতৃত্বে দেশটি হামাস নেতাদের স্বাগত জানায় এবং গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যা’ বলে সমালোচনা করে। ইসরাইল এ অভিযোগ অস্বীকার করে।

বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যে গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে ২০২০ সালে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করা সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতোমধ্যেই যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে।

রুবিও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই বাহিনীর জন্য জাতিসংঘের অনুমোদন চাইতে পারে। কারণ কিছু দেশ আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুমোদন ছাড়া সেনা মোতায়েন করতে পারে না।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের