বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু ব্রিটিশ সাংবাদিক সায়মন ড্রিং আর নেই। শুক্রবার রুমানিয়ার একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় ৭৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
সাইমন ড্রিং রয়টার্স, টেলিগ্রাফ ও বিবিসির হয়ে দীর্ঘদিন বৈদেশিক সংবাদদাতা, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে কাজ করেছেন।
সায়মন ড্রিং বাংলাদেশের গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম বিদেশি সাংবাদিক যিনি নিজের জীবন বিপন্ন করে সরেজমিন প্রতিবেদন তৈরি করে সারাবিশ্বে পাকিস্তানি বাহিনীর বর্বরতা ও গণহত্যার কথা অবহিত করেন। কলম আর ক্যামেরা হাতে নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে নিরীহ বাংলাদেশিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন এই খ্যাতিমান সাংবাদিক।
২০০০ সালে দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভি গড়ে তোলার প্রধান কারিগর হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন সাইমন। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসলে বন্ধ করে দেয়া হয় সেই চ্যানেলটি। এদিকে ২০০২ সালের অক্টোবরে তৎকালীন সরকার সাইমন ড্রিংয়ের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে তাঁকে বাংলাদেশ ত্যাগে বাধ্য করা হয়।
পরে ২০১২ সালে একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় এই ব্রিটিশ সাংবাদিককে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননায় ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার।
১৯৪৫ সালে ইংল্যান্ডে জন্ম সাইমন ড্রিংয়ের। মাত্র ১৮ বছর বয়স থেকে তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সাংবাদিক হিসেবে প্রত্যক্ষ করেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর ভূমিকা ছিল প্রকৃত বন্ধু এবং সহযোদ্ধার।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে