
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাত বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে খালাস পেয়েছেন সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমান।
ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজ মঙ্গলবার (২৭ মে) এ রায় ঘোষণা করেন।
শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সাংবাদিক শফিক রেহমান এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তার উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করে।
খালাস পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধান বিচারপতি, বেগম খালেদা জিয়া ও জুলাই আন্দোলকারীদের প্রতি কৃজ্ঞগতা প্রকাশ করেন শফিক রেহমান। বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে দেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রমাণ হয়েছে।
তার আইনজীবী জানান, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার-রিমান্ডের মাধ্যমে হয়রানির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবছেন তারা।
মামলায় দুটি ধারায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছিলো। আওয়ামী সরকার পতনের পর আদালতে আত্মসমর্পণের পর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন শফিক রেহমান।
মামলার অভিযোগ বলা হয়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে এখন (মামলা দায়েরের সময়) পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার আসামিরা একত্রিত হয়ে যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।
২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জন সাক্ষ্য দেন।
২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচ জনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালতে এ মামলায় সাজার বিরুদ্ধে আপিল দায়েরের শর্তে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন শফিক রেহমান। শুনানি শেষে আদালত তার বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার করেন।
পাশাপাশি তার সাজা পরোয়ানা স্থগিত করা হয়। পরে গত ২৭ এপ্রিল সাজার বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ হয়। ওইদিন শুনানি শেষে রায়ের জন্য ২৭ মে দিন ধার্য করা হয়।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম